দফায় দফায় অবিরাম বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ঘাঘট নদীর বন্যায় তীব্র আকারে গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। যার কারণে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছে কৃষকরা। খাদ্য যোগান দিতে না পারায় অনেকে গরু বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বন্যার কারণে গো-চারণ ভূমি তলিয়ে গেছে এবং ধানের খড়(পল) পঁচে যাওয়ার কারণে গো-খাদ্য সংকট দেখা দেয়। দীর্ঘদিন থেকে অনেকে বাজার থেকে ধানের খড় কিনে নিয়ে গিয়ে খাদ্যের যোগান দিচ্ছেন। চড়া দামে খড় কিনে অনেকে নি:স্ব হয়ে পড়েছে। সে কারণে অনেক কৃষক গরু কিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। বর্তমান বাজারে প্রতিমন খড় বিক্রি হচ্ছে ৮০০ হতে এক হাজার টাকায়। এ ছাড়া প্রতি‘শ আটি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ হতে ১ হাজার ৪০০ টাকায়। বেলকা চরের সাইফুল ইসলাম জানান, তার দেশি বিদেশী মিলে তার ৫টি গরু রয়েছে। গত ৩ মাস ধরে তিনি খড় কিনে খাওয়াচ্ছেন। এতে করে তার ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার টাকা। তিনি বলেন গরু বিক্রি করে তার লাভ তো দুরের কথা দ্বিগুন লোকসান গুনতে হবে। তিনি বলেন গরুর দাম কম হওয়ায় এখন তিনি গরুও বিক্রি করতে পারছেন না। উপজেলার সুন্দরগঞ্জ বাজারের খড় ব্যবসায়ী মন্জু মিয়া জানান, দিনাজপুর, বগুড়াসহ বিভিন্ন জেলা হতে ট্র্যাক যোগে খড় নিয়ে এসে বিক্রি করতে হচ্ছে। খড়ের দাম কম হলেও ট্র্যাক ভাড়া দ্বিগুন হওয়ায় বেশি দামে খড় বিক্রি করতে হচ্ছে। উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসার ফজলুল করিম জানান, উপজেলায় দেশি বিদেশী মিলে ১ লাখ ২০ হাজার গরু রয়েছে। তিনি বলেন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের মাঝে উপজেলা পরিষদ হতে এ পর্যন্ত ২ লাখ ৭৬ হাজার টাকার গো-খাদ্য বিতরণ করা হয়েছে।