আর কে আকাশ, পাবনা : পাবনার সুজানগরের হাটখালির শোলাকুড়ায় এক প্রকৌশলীর বাড়িতে পারিবারিক অনুষ্ঠান চলার সময় পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট চালিয়েছে সন্ত্রাসী বাহিনী। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা রেন্টু খন্দকারের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী এই তান্ডব চালিয়েছে। এসময় রেন্টু খন্দকারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা নগদ টাকা, একটি ল্যাপটপ, স্যামসাং অ্যান্ডোয়েড মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইনসহ পারিবারিক অনুষ্ঠানের খাদ্যদ্রব্য লুটপাট করে নিয়ে যায়।
প্রকৌশলী রুহুল আমিন মোল্লা জানান, দীর্ঘদিন পরে ছুটিতে পারিবারিক অনুষ্ঠানে বাড়িতে আসার প্রায় আধা ঘন্টা পরে সন্ত্রাসী রেন্টু খন্দকারের নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা রামদা, চাইনিজ কুড়াল, শাবল, হাতুড়িসহ বিভিন্ন অস্ত্র দিয়ে দরজা, জানালা ভেঙে ফেলে। এসময় বাড়ির মহিলারা এগিয়ে আসলে তাদেরকে অকথ্য ভাষায় বকা-বাদ্য করে এবং আমার মায়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেন ছিনিয়ে নেয়।
এসময় তারা বসত ঘরের জানালা ভেঙে ও ঘরের বেড়া কেটে লুটপাট চালায়। সন্ত্রাসীরা নগদ ৮০ হাজার টাকা, এইচপি ব্যান্ডের একটি ল্যাপটপ, একটি স্যামসাং অ্যান্ডোয়েড মোবাইল ফোন, স্বর্ণের চেইনসহ পারিবারিক অনুষ্ঠানের খাদ্যদ্রব্য লুটপাট করে নিয়ে যায়।
আমি পাশের বাড়ির মাধ্যমে ফোনে প্রশাসনের কাছে সাহায্য চাইলে, কামালপুর পুলিশ ফাড়ির পরিদর্শক রেজাউল করিম সন্ত্রাসী রেন্টু খন্দকারকে হাতেনাতে আটক করে নিয়ে গেলেও পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেয়।
প্রকৌশলী রুহুল আমিন মোল্লার মা রেণু বেগম জানান, সন্ত্রাসী রেন্টু খন্দকারের কারণে আমার ৬ ছেলে এলাকা ছাড়া। তারা বাড়িতে আসতে পারে না। বাড়িতে আসলে সন্ত্রাসী রেন্টু খন্দকার আমার ছেলেদের মেরে ফেলতে তার গুন্ডা বাহিনী পাঠায়। এর আগে সন্ত্রাসী রেন্টু খন্দকার আমার এক ছেলেকে সিএনজি থেকে নামিয়ে হত্যার অপচেষ্টা চালায়। তার আরও আগে আমার আরেক ছেলেকে বাড়িতে আসার পথে তার কাছ থেকে অ্যান্ডোয়েড মোবাইলসহ সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে মেরে আহত করে। তার কারণে আমার পরিবার ছন্নছাড়া। প্রশাসনে কাছে গেলেও কোনো মামলা নেয় না। আমরা কি কোনো বিচার পাবো না?
এ ঘটনায় আমার ছেলে সুজানগর থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ প্রশাসন মামলা না নিয়ে তালবাহানা করে এবং মিমাংসা করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা রেন্টু খন্দকার দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন অপকর্ম করে আসছে। তার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলে সাহস পায় না। সে নিজেকে এই এলাকার প্রধানমন্ত্রী বলে ঘোষণা দিয়ে বেড়ায়। সে যা করবে সেটাই নিয়ম, সেটাই এলাকাবাসীকে মানতে হবে।
এ বিষয়ে প্রতিবেদক সরেজমিনে রেন্টু খন্দকারের বাড়িতে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করলেও সে সাক্ষাৎ করেনি।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মুঠোফোনে কামালপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে রেন্টু খন্দকারের ছেড়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ওদের মধ্যে মীমাংসার কথা চলছে।