সুন্দরগঞ্জে বন্যায় দুই হাজর হেক্টর জমির ফসল নির্মজিত

:
সুন্দরগঞ্জে বন্যায় দুই হাজর
হেক্টর জমির ফসল নির্মজিত বর্ষন এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা ও ঘাঘট নদীর বন্যায় প্রায় দুই হাজর হেক্টর জমির আমন ও সবজি ক্ষেত নির্মজিত হয়ে পড়েছে। তবে সরকারিভাবে নির্মজিতর পরিমান ১ হাজার ৬৫০ হেক্টর। এর মধ্যে সবজি ক্ষেত ১০০ হেক্টর। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বামনডাঙ্গা ও সর্বানন্দ ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট নদীর বন্যায় ৩৫০ হেক্টর এবং তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে তিস্তা নদীর বন্যায় নির্মজিত ১ হাজার ৩০০ হেক্টর। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা নির্মজিত আমন ও সবজি ক্ষেত নিয়ে চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। উপজেলার পাইটকাপাড়া গ্রামের সাজু মিয়া জানান, তার তিন বিঘা জমির উঠতি আমনক্ষেত এখন পানির নিচে পড়ে রয়েছে। বেশিভাগ ধানের গোছা ইতিমধ্যে পঁচে গেছে। তার দাবি চলতি বছর তিনি এক ছটাক আমন ধানও ঘরে তুলতে পারবেন না। এছাড়া ধানের খড় না থাকলে তার দুইটি গরু লালন পালন করা সম্ভব হবে না। পরিজন নিয়ে কিভাবে সংসার চালাবেন সে চিন্তায় তিনি মাথায় হাত দিয়ে বসেছেন। তিনি সরকারের নিকট ভুর্তকির দাবি জানিয়েছেন। ভাটিকাপাসিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম জানান, তার এক বিঘা জমির মরিচ এবং এক বিঘা জমির বেগুন ক্ষেত সম্পন্নরুপে নষ্ট হয়ে গেছে। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তার সবজি ক্ষেতে ফলন ধরতে শুরু করত। তিনি বলেন এ পর্যন্ত তার দুই বিঘা জমিতে খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ সৈয়দ রেজা-ই মাহমুদ জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে নির্মজিত আমন ও সবজি ক্ষেতের পরিমান নিরুপণ করে তা পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন নির্মজিত আমন ক্ষেতের কিছু অংশ সেরে উঠার সম্ভবনা রয়েছে। কৃষকরা নতুন করে আবারও সবজি চাষাবাদ শুরু করেছে।