ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা (পপ) কর্মকর্তা রহিমা খাতুন (৫০) সহ তার পরিবারের আরও তিন সদস্যের দ্বিতীয় দফায় করোনা সনাক্ত হয়েছে। অন্যদের মধ্যে রয়েছে তার স্বামী ও এক ছেলে এবং মেয়ে। এনারা সবাই এর আগে জুন মাসে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিল। এদিন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাজমুস সাকিবের শরীরেও করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা রহিমা খাতুন সপরিবারে গাজীপুরে বসবাস করেন। তিনি গাজীপুর থেকে ট্রেনে চড়ে ভাঙ্গুড়ায় যাতায়াত করেন। সম্প্রতি পরিবারের সকলের শরীরে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়। এতে গত ৪ তারিখে তারা ঢাকার একটি হাসপাতালে নমুনা দেন। বৃহস্পতিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রেরিত ফলাফলে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ও তার স্বামী এবং এক ছেলে ও মেয়ের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। এদিন ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসক ও বিভিন্ন গ্রামের ৩ জন যুবকের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। গত রবিবারে এদের নমুনা সংগ্রহ করে রাজশাহী পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার তাদের শরীরে করোনা শনাক্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম বলেন, সারা দেশে করোনা সনাক্তের হার কমলেও ভাঙ্গুড়ায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে। এনিয়ে স্বাস্থ্য প্রশাসন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে।