শ্রীলঙ্কা সফর স্থগিত হলেও লাল বলে প্রায় দুই মাসের অনুশীলনকে স্বার্থক করে তুলতে দুটি দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ আয়োজন করে বিসিবি। মিরপুর স্টেডিয়ামে গত ২-৩ অক্টোবর ও ৫-৬ অক্টেবার দুটি ম্যাচ খেলেন ক্রিকেটাররা। ছয় মাস পর ম্যাচ খেলতে নেমে সবাই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। মুমিনুল হক দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন প্রথম ম্যাচে। সাইফ হাসান, মোহাম্মদ মিঠুন, ইমরুল কায়েস, তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম রান পেয়েছেন। জাতীয় দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশারের চোখে, প্রস্তুতি ম্যাচ দুটির সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ফাস্ট বোলিং ইউনিট।
টেস্টের নিয়মিত পেসার আবু জায়েদ রাহী না থাকলেও আট পেসার খেলেছেন দুটি ম্যাচে। টেস্টে ফিরতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে বল ভেতরে ঢুকানোর চেষ্টায় কিছুটা সফলতা পেয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। বল হাতে গতির ঝড় দেখিয়েছেন তাসকিন আহমেদ, এবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদ। সাইফউদ্দিন, রুবেল হোসেন, আল-আমিন হোসেনরা বোলিংয়ের পুরো ছন্দ খুঁজে পাননি।
দুই ম্যাচে ৬ (৩, ৩) উইকেট নিয়েছেন তাসকিন। গতিময় ফাস্ট বোলিংয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে পড়া হাসান মাহমুদ। মুশফিককে বোল্ড করে তাক লাগান তিনি। খালেদ একটি, সাইফউদ্দিন দুটি, আল-আমিন একটি, এবাদত দুটি, রুবেল একটি উইকেট পান। দুই ম্যাচে কোনো উইকেট পাননি মুস্তাফিজ।
ক্রিকেটারদের ম্যাচ খেলার আগ্রহ ভালো লেগেছে হাবিবুল বাশারের। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘সাত মাস পর ম্যাচ খেলতে নেমেছে, অবশ্যই বলতে হবে যে তারা খুব ভালো করেছে। সবার খেলার প্রতি আগ্রহ দেখে ভালো লেগেছে।’ প্রস্তুতি ম্যাচের প্রাপ্তি সম্পর্কে জানতে চাইলে এই নির্বাচক বলেছেন, ‘লাল বলের জন্য সবচেয়ে ইতিবাচক ফাইন্ডিংস আমাদের ফাস্ট বোলাররা। নিকট অতীতেও যদি দেখেন আমার মনে হয় আমাদের লাল বলে ফাস্ট বোলিংয়ের অপশনটা কম ছিল। বাট এই দুটি ম্যাচে দেখে ভালো লেগেছে যে, লাল বলে আমাদের ফাস্ট বোলিংয়ের অপশন বেড়েছে। তাদের খুব প্রতিশ্রুতিশীল মনে হয়েছে। এটা অনেক বড় ইতিবাচক বিষয় আমাদের জন্য।’
তাসকিন-হাসান মাহমুদদের মাধ্যমে টেস্টেও শক্তিশালী পেস আক্রমণ হবে আশা হাবিবুলের। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘ভালো একটা ইউনিট তৈরি হয়েছে ফাস্ট বোলারদের। এই ইউনিটকে যদি আমরা আরো এক, দেড় বছর টানা ফিট অবস্থায় পাই, তাহলে অবশ্যই লাল বলে আমাদের জন্য বড় বিষয় হবে। তাদের মাঝে খুব ভালো প্রতিযোগিতা আছে। যেটা আমাদের লাল বলের ক্রিকেটে মিসিং ছিল।’