লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডিই ছিল। বাইশ গজে নয়, হাসপাতালের আইসিউইতে। সেই যুদ্ধটা চললো চারদিন অবধি। শেষমেশ হার মানলেন নাজিব তারাকাই। মাত্র ২৯ বছর বয়সেই মারা গেলেন আফগানিস্তানের জাতীয় দলের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
গেল শুক্রবার ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে জখম হয়েছিলেন নাজিব। নাঙ্গারহার প্রদেশের পূর্বাঞ্চলে রাস্তা পারাপারের সময় তাকে ধাক্কা দেয় একটি গাড়ি। সাথে সাথেই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাকে। তখনই আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (এসিবি) তরফ থেকে বলা হয়েছিল তার অবস্থা সংকটাপন্ন। আর বোর্ডের আশঙ্কাই সত্যি হল।
সংস্থাটি, গতকাল মঙ্গলবার এক টুইটে মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। শেষ বিদায় জানিয়ে টুইটে লেখা হয়, ‘আগ্রাসী ওপেনার ও অসাধারণ ব্যক্তিত্ব নাজিব তারাকাইয়ের মৃত্যুর বেদনাদায়ক খবরে আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (এসিবি)) ও ক্রিকেটপ্রেমী দেশের প্রত্যেকেই গভীরভাবে শোকাহত। ট্র্যাজিক দুর্ঘটনায় ২৯ বছর বয়সী ক্রিকেটারের মৃত্যুতে আমরা হতভম্ব। সৃষ্টিকর্তা তার প্রতি কৃপা করুণ।’
নাজিবের ক্যারিয়ারে খুব দারুণ ভাবে জড়িয়ে আছে বাংলাদেশের নাম। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় নাজিবের। অভিষেকটা হয় মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ।
কাকতালীয় ব্যাপার হল, গেল সেপ্টেম্বরে শেষবার যখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে মাঠে নামেন, তখনও প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ, ভেন্যুও সেই মিরপুর। হয়তো, ক্যারিয়ারটা আরো লম্বা হতে পারতো। কিন্তু, সেই সুযোগ আর পেলেন না।
আফগানিস্তানের হয়ে ১২ টি টি-টোয়েন্টি ও একটি ওয়ানডে খেলেন তিনি। ২০১৭ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ক্যারিয়ার সর্বোচ্চ ৯০ রানের ব্যাক্তিগত ইনিংস খেলেন নাজিব। টি-টোয়েন্টিতে একটি হাফ সেঞ্চুরিসহ তার রান ২৫৮।
সব ধরণের ক্রিকেট মিলিয়ে টি-টোয়েন্টি খেলেন ৩৩ টি। এছাড়া ২৪ টি প্রথম শ্রেণি ও ১৭ টি লিস্ট ‘এ’ ম্যাচ খেলেন নাজিব। প্রথম শ্রেণিতে ছয়টি সেঞ্চুরি ও ১০ টি হাফ সেঞ্চুরি আছে তাঁর।