বীরগঞ্জে পরকিয়ার অপরাধে পরিবারের সবাইকে ধোলাই দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বন্ডসহি নিয়ে প্রেমিকের মুক্তি দিয়েছেন মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল ।
উপজেলার মরিচা ইউনিয়নের ডাবরা জীনেশ্বরী গ্রামে রবিবার মধ্যরাতে লালু মিয়ার তালাকপ্রাপ্ত যুবতী মেয়ের সাথে শতগ্রাম ইউনিয়নের অর্জুনাহার গ্রামের বহিরাগত বিবাহিত যুবক মজিবর একঘরে অবৈধ ভাবে রাত্রি যাপন করাকালে মধ্য রাতে তফিল উদ্দিন, ধলু মিয়া, আব্দুল জব্বার, আব্দুল খালেক, দুলু মিয়া ও মোজাফফর গোসেন সহ ৬ পরিবারের লোকজন ওই বাড়ীতে গিয়ে সকলকে ধোলই দেয়। তারা পরকিয়া প্রেমিক মজিবরকে আটক করে চেয়ারম্যানকে সংবাদ দেয়।
সংবাদ পেয়ে মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান আতাহারুল ইসলাম হেলাল চৌধুরী রাত্রি ২টার সময় সরেজমিনে গিয়ে পরকিয়া প্রেমিক মজিবরকে বন্ডসহি নিয়ে স্বজনদের জিম্মায় মুক্তি দেন। আক্রান্ত লালুসহ পরিবারের আহত কুলসুম, ফুলজান জ্যোা¯œা সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরন করেন। আহত লালুর ভাই সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল জব্বার সহ অন্য ভাইয়েরা অভিযোগ করেন-
পরকিয়া প্রেমিক মজিবর লালু ভাইয়ের ২টি মেয়েকে রাত দিন এক মোটর সাইকেলে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় রাস্তায় রাস্তায় অশ্লীলতা করে। তাদের অশ্লীলতার কারনে বংশের ছেলে মেয়েদের বিবাহের সমন্দ ভেঙ্গে যাচ্ছে। ছেলে মেয়েদের বিবাহ দিতে সমস্যা হচ্ছে। ভাইদের হাট বাজার করা বা রাস্তায় চলাফেরা দুরহ ব্যাপার হয়ে গেছে।
আহত লালু ও পরিবারের অন্য সদস্য কুলসুম, ফুলজান জ্যোা¯œা হাসপাতালে জানান, পরিবারের লোকেরা তাদের মারপিট করেছে সত্য তবে কাহারো বিরুদ্ধে আমাদের কোন অভিযোগ নাই।