গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি.
নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় ভুয়া কাজীর বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার এ অভিযোগ দেন উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের কাজী আমিনুল ইসলাম।
অভিযোগসহ বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর ইউনিয়নের বৃন্দাবনপুর গ্রামের মৃত মর্তুজ শেখের ছেলে করিম শেখ (৪০) টাকার লোভে শতাধিক বিয়ে ভুয়া ভলিয়মে রেজিষ্ট্রি করেছেন। এরমধ্যে অধিকাংশই বাল্যবিয়ে। করিমকে নিয়ে শালিস দরবার হয়েছে, জরিমানাও দিয়েছেন তিনি। তবু লোভের পাপ তাকে সুপথে ফিরতে দেয়নি।
স্থানীয়রা জানায়, ৩০ আগস্ট রাতে পাশের দুধগাড়ি গ্রামের আমান আলীর অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে হাসি খাতুনের বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রি করেন করিম শেখ। তাতে দেনমোহর ধার্য্য করা হয় ২ লাখ ৩০ হাজার টাকা।
করিম শেখ মুঠোফোনে এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আগে আমিনুল কাজীর সহকারি হিসেবে কাজীগিরি করতাম, এখন করিনা। তবে স্থানীয় ইমাম হেলাল উদ্দিন হাসির বাল্যবিয়ে পড়ানোর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চাপে পড়ে তিনি ওই বিয়ের কলেমা পড়িয়েছেন। পাশর্^বর্তী গ্রাম সিংড়ার কলম জগতপুরে রডমিস্ত্রি মিশুর সাথে হাসির বাল্যবিয়ে হয়।
নাজিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান শওকত রানা বলেন, বিয়াঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ করিমের বিরুদ্ধে বাল্যবিয়ে রেজিষ্ট্রি করায় অনেক শালিস দরবার করেছি। কিন্তু প্রশাসন ব্যবস্থা না নেওয়ায় করিম ভুয়া ভলিয়মে বাল্যবিয়ে রেজিস্ট্রি করেই চলেছেন।
এ ব্যাপারে থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম বলেন, এসআই ময়েজ উদ্দিন ঘটনাটির তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।