মাভাবিপ্রবি প্রতিনিধি: মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর প্রথমা সহধর্মিণী বেগম আলেমা খাতুন ভাসানীর ১৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে টাঙ্গাইলের সন্তোষে মরহুমার খাস জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল ও ইয়াতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়। এ সময় মরহুমার পরিবারের সদস্য, ভক্ত ও অনুসারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আলেমা খাতুন ভাসানী ছিলেন বগুড়া জেলার পাঁচবিবির বীরনগরের জমিদার-কন্যা। তাঁর পিতা সামীর উদ্দীন তালুকদার পাঁচবিবির বীরনগরের ২৪ পরগনা ৪০ মৌজার জমিদার ছিলেন। ব্রিটিশ আমলে, বিশের দশকের মাঝামাঝিতে মওলানা ভাসানীর বিরুদ্ধে বৃটিশরা হুলিয়া জারি করলে তাদের ফাঁকি দিয়ে ‘মুনশি’ সেজে আলেমা খাতুনের পিতার কাছে মওলানা ভাসানী থাকতে থাকেন এবং তাঁর পুত্র-কন্যাদের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন। আনুমানিক ১৯২৫ সালে তাঁদের বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়। জমিদার পিতার তরফ থেকে আলেমা খাতুন পেয়েছিলেন প্রায় ৬০ বিঘা জমি। পাঁচবিবি থেকে ৩/৪ কিলোমিটার পূর্বে মহিপুর গ্রামের সেই জমিতে মওলানা ভাসানী গড়ে তুলেন তাঁর ‘হক্কুল এবাদ মিশনের’ স্কুল-কলেজ-লাইব্রেরিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহ। মমতাময়ী এই মানুষটির আতিথ্য গ্রহণ করেছেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, উঠতি নেতা থেকে শুরু করে গ্রাম-বাংলার কৃষক-শ্রমিক শ্রেণী। মওলানা ভাসানীর মাজার শরীফের পাশেই তিনি সমাহিত। মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হলের নামকরণ করা হয়েছে এই মহীয়সী নারীর সম্মানে।