নাটোর প্রতিনিধি – নাটোরে ধর্ষনের বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে এক অসহায় স্বামী পরিত্যক্তা নারী। সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের ভাতুরিয়া গ্রামে মৃত জাবেদ আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ করেন একই গ্রামের অসহায় এক নারী। অসহায় নারী জানান, স্বামী পরিত্যক্ত হওয়ার পর বাপের বাড়িতে এক ছেলে নিয়ে কষ্টে দিন পার করছিলেন তিনি । ১৪ বছর ধরে মানুষের বাড়ি আর ক্ষেত খামারে কাজ করে জীবীকা নির্বাহ করে স্বামী পরিত্যক্তা নারী। গ্রামবাসী জানান, দিনমজুরের কাজ করে থাকলেও গ্রামে সম্মানের সাথে বাস করছিলেন। এক বছর ধরে একই গ্রামের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে শারিরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু বিয়ের জন্য চাপ দিলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে এবং তাকে কখনও বিবাহ করবে না বলে জানায়। পরে অসহায় মহিলাটি থানায় অভিযোগ করলে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেয়নি পুলিশ। তিনি আরও অভিযোগ করে বলেন, মিমাংসার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে। মেম্বার চেয়ারম্যান তাদের লোক বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী নারী। সাইফুল ইসলাম তাকে বিবাহ না করলে আত্নহত্যারও হুমকি দেয় এই নারী।
স্থানীয় ইউপি সদস্য নাদিম অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ঐ নারী স্বামীপরিত্যক্তা ও দরিদ্র হওয়ায় যখন যে সরকারী সাহায্য আসে তা তাকে দেওয়া হয়। মেয়ের স্বভাব চরিত্র ভাল বলে মন্তব্য করেন। এই ঘটনার বিষয়ে তিনি জানান, যেহেতু বিষয়টা স্পর্শকাতর, তাই পুলিশের সাহায্য নিতে বলেছি।
অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম জানান, এলাকায় আসেন খোজ খবর নেন। আমি এ ধরণের ঘটনায় জড়িত না ঐ নারী যে অভিযোগ করেছেন তা সত্য নয়। এটা বানোয়াট।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক নিয়ামুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, আমরা বিষয়টা ক্ষতিয়ে দেখছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিষয়টি আমি ওসি সাহেব কে জানিয়েছি। তিনি ব্যবস্থা নিবেন।