সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ার জাকারিয়া নামের এক ইমামের যেন বিয়ের নেশায় আষোক্ত। ১৪ বছরের সাজা মাথায় নিয়ে বিয়ের প্রলোভনে বিদেশ প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পঞ্চমবারের মত ঘর ছাড়ল গোপালপুর মসজিদের ইমাম। নিরুদ্দেশ হওয়ার ৮ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনও তাদের কেশাগ্র ছুঁতে পারেনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ জেলার শাহাজাদপুর থামার সানিলা গ্রামের ও সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর আঃ লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক খালেক মাওলানার ছেলে জাকারিয়া (৩৫) গোপালপুর আত্রাইশুকা মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সে বিভিন্ন সময়ে পাশ্ববর্তী সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী ১ সন্তানের জননীকে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসত। গত ১৯ সেপ্টেম্বর সকালে ইমাম জাকারিয়া বিয়ের প্রলোভনে স্বণালংকার ও নগদ প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকাসহ প্রবাসীর স্ত্রী নাছিমা (৩০) কে নিয়ে পঞ্চমবারের মত নিরুদেশ হয়। নাছিমার পরিবারের সদস্যরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে গত ২০ সেপ্টেম্বর তার মামা আঃ মান্নান বাদী হয়ে সাঁথিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
জাকারিয়ার ৪ নম্বর স্ত্রী শারমিন আক্তার সাথী জানান, আমার স্বামী আমিসহ ৪টি বিয়ে করেছিল। তার বিরুদ্ধে রাজশাহীর স্ত্রী চম্পা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করে। সে মামলায় তার ১৪ বছরের সাজা হয়। ঢাকা হাইকোর্ট থেকে সে জামিনে আছেন। এর আগে সাঁথিয়ার গ্রৌড়ীগ্রামের মুক্তি নামে এক স্ত্রী মামলা করলে টাকা দিয়ে তা মিমাংশা করা হয়। সেখানে জাকারিয়ার একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। আমাকে বিয়ের সময় আমার বাবার নিকট থেকে জাকারিয়া ৩ লক্ষ টাকা যৌতুক নেন। ১৯ সেপ্টেম্বর সুজানগর এক মসজিদের ইমামের চাকরীর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি।
সাঁথিয়া থানার এসআই রাশেদুল ইসলাম জানান, ইমামের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। তার বাড়ি শাহজাদপুর। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।