ধানের শীষের প্রার্থী হাবিব নির্বাচন নিয়ে বাণিজ্য করেছে

স্বপন কুমার কুন্ডু, ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
পাবনা-৪ আসনের উপনির্বাচনে ধানের শীষের বিএনপি’র প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের চলমান নির্বাচন বাতিল করে পুনঃনির্বাচনের দাবির প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগাঠনিক সম্পাদক ও উপনির্বাচনের সমন্বয়ক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, হাবিব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায়নি, নির্বাচনের নামে নির্বাচন বাণিজ্য করেছে। ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়ার মানুষের সাথে হাবিব উপহাস ও প্রতারণা করেছে।
হাবিবুর রহমান হাবিবের সংবাদ সম্মেরনের পর দুপুর ১টার দিকে পাবনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কামাল হোসেন আরো বলেন, হাবিব কোন কেন্দ্রেই এজেন্টই দেয়নি। শোচনীয় পরাজয় বুঝতে পেরে গতকাল শুক্রবার থেকেই হাবিব নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার পায়তারা করেছে। তিনি বলেন, আমি মনে করি হাবিব নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য পথ খুঁজছিল। সেজন্য পরিকল্পিতভাবে নিজস্ব লোকজন দিয়ে আওয়ামী লীগের দুটি অফিসে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, গুলি বর্ষণ ঘটনা ঘটিয়েছিল। আমরা তাকে বলেছিলাম যে মামলা হয়েছে, তা তদন্ত স্বাপেক্ষে শেষ করা হবে।
কামাল বলেন, হাবিব ঘরে বসে থেকেছে। শুধু সাংবাদিকদের সাথে কথা বলে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ উত্থাপন করেছে। কোথায়ও ভোট চাইতে যায়নি এবং নেতা-কর্মীদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার জন্যও বলেনি। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন আপনারা খোঁজ নিয়ে দেখেন, ধানের শীষের কোন এজেন্ট ফরমে হাবিব সই করেছে কিনা ?
কোন কেন্দ্রেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী দ্বারা এজেন্টদের বাধা দেয়ার কোন ঘটনা ঘটেনি জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি যেটা চেয়েছিলেন এই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে, তাদের সেই প্রত্যাশাও আজ পূরণ হয়নি। ঈশ^রদী-আটঘোরিয়ার মানুষ ও সাংবাদিকরা স্বাক্ষী। বাংলাদেশে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে এবং সংঘাত ছাড়া এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এসময় পাবনা সদরের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সসহ জেলার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: দুপুর ১২টার দিকে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব সাহাপুরে তাঁর নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নানা অনিয়মের অভিযোগ এনে পুন:নির্বাচনের দাবী জানান। উল্লেখ্য ২০১৮ সালের নির্বাচনেও হাবিব দুপুর ২টার দিকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। ১৯৯৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত পর পর পাঁচবার পাবনা-৪ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রয়াত সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযোদ্ধা শামসুর রহমান শরীফ বিজয়ী হয়েছিলেন। গত ২রা এপ্রিল তাঁর মৃত্যু হলে এই আসনটি শুণ্য হওয়ায় এই উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।