শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দালাল চক্রের অত্যাচারে রোগীরা দিশে হারা

যশোর প্রতিনিধি : শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের ঔষধের দোকানদারদের দালালিতে অতিষ্ট হয়ে পড়েছে রোগী ও তাদের স্বজনেরা। অতিরিক্ত ঔষধের দাম মেটাতে তারা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। দালালরা স্থানীয় হওয়ায় রোগীরা তাদের কাছে অসহায় হয়ে পড়ছে।

একাধিক সুত্র জানায়, শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে গড়ে উঠেছে ৯টি ঔষধের দোকান। যার অধিকাংশের ড্রাগ লাইসেন্স নেই। নেই কোন ফার্মাসিষ্ট। আবার অধিকাংশ দোকানি লেখাপাড়ায় ৫ম শ্রেনী পার করেনি। যারা ঔষধের নাম পড়তেই পারেনা তারা ফার্মেসী খুলে বসেছে।

সুত্র গুলি জানায়, মুর্খ এ ঔষধ ব্যবসায়ীরা নিজেদের মধ্যে সিরিয়ালের সিষ্টেম করে নিয়েছে। দিনে একজন দোকানী স্বাস্থ্য কেনদ্রে আসা সমগ্র রোগীর ব্যবস্থাপত্র জোর করে ছিনিয়ে নিয়ে ঔষধ সরবরাহ করছে। তাদেরকে জিম্মি করে ইচ্ছে মত দাম নিচ্ছে। তবে এ সব নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রোগীর স্বজনদের সাথে বাধছে ঝগড়া থেকে হাতাহাতি পর্যন্ত ঘটছে।

শার্শার গোড়পাড়া গ্রামের আজিজুর রহমান জানান, তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হন। চিকিৎসক ব্যবস্থাপত্র দেওয়া মাত্রই আলাল ফার্মেসীর দালাল আসাদুল তাদের হাত থেকে সেটি ছিনিয়ে নেয়। এবং প্রতিটি ঔষধ গ্রুপ পাল্টিয়ে সরবরাহ করেন। পরে নার্সের কথা মত ঔষধ পাল্টাতে গেলে আমার স্বজনদেরকে লাঞ্চিত করে আলাল ও আসাদুল। একই ঘটনা ঘটে গত ২৩ সেপ্টেম্বর। শার্শার শ্যামলাগাছী গ্রামের সিপন নামের এক রোগী শ্বাষ কষ্ট নিয়ে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তী হয়। এদিন সিরিয়াল ছিল হুমাইরা ফার্মেসীর স্বপনের। ঔষধের দাম ৭০০টাকা হলেও তাদের কাছ থেকে নেয়া হয় ১২শত টাকা। বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সাথে দোকানীর কথা কাটাকাটি হলেও এখনো টাকাটি ফেরত পায়নি তারা। উপরন্ত তাদেরকে হুমকি দেয়া হচ্ছে বলে জানা যায়।

এব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের বিসমিল্লাহ ফার্মেসীর মালিক হাসানুজ্জামান বলেন, এখানে অধিকাংশ ফার্মেসী মালিক লেখাপড়া জানেনা। ডাক্তারের ব্যবস্থ্যাপত্র পড়ার মত ক্ষমতা তাদের নেই। তারপরেও তারা দেদার্ছে মানুষ ঠকিয়ে চলেছে। আবার অনেকের নেই ড্রাগ লাইসেন্স। নেই ফার্মাাসিষ্টের অভিজ্ঞতা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক কর্মকর্তা জানান, বহির্বিভাগে রোগী আসা মাত্রই ফার্মেসী গুলোর দালালরা হামলিয়ে পড়ে। রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে ব্যবস্থ্যাপত্র কেড়ে নিয়ে তারা অধিক মুল্যে ঔষধ সরবরাহ করে। অন্য ফার্মেসী থেকে ঔষদ আনতে গেলে হতে হয় লাঞ্চিত।

এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। আগামীকাল আসুন, বিষয়টি নিয়ে কি করা যায় দেখা যাক।