নৌকার নির্বাচনী ক্যাম্পে হামলা ও গুলি বর্ষণের ঈশ্বরদী থানায় দুটি মামলা ৫৬ জন নামীয় এবং অজ্ঞাত ৪৫ জন আসামী

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাসের দু’টি নির্বাচন অফিস ভাংচুর ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় ঈশ্বরদী থানায় দুটি মামলা দায়ের হয়েছে। দুটি মামলায় ৫৬ জনকে নামীয় এবং অজ্ঞাতনামা আরো ৪৫ জনকে আসামী করা হয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন বৃহস্পতিবার রাতে মামলা দায়েরের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন। মামলা নম্বর ৩৯ ও ৪০।  প্রতিদ্বন্দ্বি ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব হামলা ও মামলা দায়েরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করেছেন।  
 ঈশ্বরদীর সাহাপুরের আজিজল তলা নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের ঘটনায় মুরাদ মালিথা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। এই মামলায় ২৮ জন নামীয় এবং ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী রয়েছে। সলিমপুর ইউনিয়নের মানিকনগর স্কুল সংলগ্ন নির্বাচন অফিসে এই হামলার ঘটনায় আমজাদ হোসেন অবুঝ ২৮ জনকে নামীয় এবং ১৫-২০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। তবে এই মামলায় কেউ গ্রেফতার হয়নি বলে জানা গেছে।
নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা নূরুজ্জামান বিশ্বাস নৌকার দুটি নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও গুলি বর্ষণের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। আমাকে গুলির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। আগামী ২৬ তারিখে ব্যালটের মাধ্যমে এই বুলেটের জবাব দেয়া হবে।
এব্যাপারে বিএনপি’র ধানের শীষের প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিব হামলা ও মামলা দায়েরের ঘটনা ষড়যন্ত্রমূলক বলে দাবী করে বলেন, মিথ্যা মামলা করে বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন জানান, মামলায় বিএনপি’র নেতা-কর্মীদের আসামী করা হয়েছে কিনা আমরা জানিনা। তদন্ত করা হচ্ছে। এঘটনায় বিএনপি’র কোন নেতা-কর্মীকে এখনও গ্রেফতার করা হয়নি এবং  হয়রানিও করা হচ্ছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।