বীরগঞ্জে পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মহিলাসহ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ৫জন মেয়র প্রার্থী’র গনসংযোগ ও দৌড়ঝাপ

বীরগঞ্জে পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে মহিলাসহ আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য ৫ সহ ৮জন মেয়র প্রার্থী’র গন সংযোগ ও দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ হানিফ হাই কমান্ডের নিদের্শে পৌর মেয়রের পদ থেকে পদ ত্যাগ করে বিগত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে অংশ নেয়ার কারনে পদটি শুন্য হলে ২০১৯ সালে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন বাবুল গত ২০১৯ সালে ১৫ এপ্রিল উপ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হয়। উপ-নির্বাচনে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ নুর ইসলাম দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে হেরেযান। এবারও তিনি ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শামীম ফিরোজ আলম দলীয় প্রার্থী হিসাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গন সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অপর একজন পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম দলীয় প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বলে গুনজন শুনা যাচ্ছে। এ ছাড়াও উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শাহানাজ পারভিন নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে জানান দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে মহিলাদেও সমর্থন ও দোয়া নিচ্ছেন। তিনি মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম লুৎফর রহমানের মেয়ে ও মরিচা ইউনিয়নের সাবেক সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ছিলেন।
বিএনপি’র দলীয় সিদ্ধান্তের বাহিরে এই সরকারের আমলে নির্বাচন বয়কট করায় প্রতীক না নিয়ে প্রতিকুল অবস্থাতেও বিএনপির নেতা রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু গত ২০১৯ সালে উপ-নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জগ মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করে ২য় হয়েছিলেন। এবারেও তিনি প্রার্থী হবেন বলে জানান দিয়ে এলাকায় গন সংযোগ ও শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন। আসন্ন নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ও নেতা কর্মীদের সাথে পেলে ভোটের পরিস্থিতি অনুকুলের সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এরশাদুল হক ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নমিরুল ইসলাম চৌধুরী সেনা বলেন, রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু বিএনপি’র দলীয় প্রার্থী।

বীরগঞ্জ পৌরসভার আসন্ন নির্বাচনে উল্লেখিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ, গন সংযোগ চলছে, শুভেচ্ছা পোষ্টার ও বিল বোডে ছেয়ে গেছে পৌর শহর, একাধিক প্রার্থী নিয়ে আসনটি ধরে রাখতে চায় আ’লীগ, বিএনপি ও জামায়াত চায় তাদের দখলে নিতে। তফশীল ঘোষনা না হলেও নির্বাচনী হাওয়া বৈইতে শুরু করেছে পৌরশহরে। বিভিন্ন স্থানে এবং অলীতে-গলীতে শুভেচ্ছা পোষ্টার ও বিল বোর্ডে ছেয়ে গেছে, গন সংযোগ ও ফেস্টুন লাগিয়ে ভোটারদের দৃষ্টি কাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রার্থীরা। নির্বাচন করার ইচ্ছায় যারা মাঠে রয়েছেন তাদের অন্যতম আওয়ামী লীগ প্রার্থী।
জামায়াতে ইসলামীর সাবেক উপজেলা আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ হানিফ পৌর মেয়র পদ থেকে পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করায় পদটি শুন্য হয়। ২০১৯ সালে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলাম আসনটি উদ্ধারের চেষ্টায় সাবেক মেয়র মোঃ হানিফ এবারো প্রার্থী হতে পারেন বলে দলীয় সুত্র জানায়। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় প্রার্থী হতে না পারলে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে পৌর আমীর রাশেদুন নবী বাবু প্রার্থী হতে পারে। গত উপ নির্বাচন ছাড়া মাওলানা মোঃ হানিফ জামায়াতের একমাত্র প্রার্থী যিনি ২০ বছর ধরে প্রশাসক ও মেয়র ছিলেন। বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী গত নির্বাচনে থাকলেও এখন পযন্ত পৌর নির্বাচনে কোন প্রার্থীর নাম শোনা যায়নি।
আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী গনসংযোগের পাশাপাশি তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছেন। উল্লেখ, উপজেলা সুজালপুর ইউনিয়নের ৫টি মৌজার আংশিক এলাকার ৬.৩০বর্গ কি.মি. আয়তন নিয়ে গত ২০০২ সালে ১৫ জুন স্থাপিত পৌরসভার কার্য্যক্রম শুরু হয়। সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১টি কক্ষে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম আশরাফুজ্জামান প্রথম পৌর প্রশাসক হয়ে সল্প সময়ে সরকারের দৃষ্টিতে এনে ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সরকার পৌরসভাকে ’গ’শ্রেণী হতে খ’শ্রেণীতে উন্নীত করেন এবং গত ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম ও ২০১৫ সালে ২য় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২ বারেই জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ বিজয়ী হয়। বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৩ হাজার ৯১৭ জন ভোটার রয়েছে।