মেয়ের নির্যাতনের বিচার চাওয়ায় শালিসে ডেকে নিয়ে মারপিট করার অভিযোগ সাঁথিয়া উপজেলার ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগি লিটন সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে লিটনের স্ত্রী ময়ূরী খাতুন বাদী হয়ে রোববার বিকেলে সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, এক বছর আগে উপজেলার পাচ ধোপাদহ গ্রামের লিটনের মেয়ে আয়শা খাতুন (১৯) এর সাথে ধুলাউড়ি ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের সাকেদ মোল্লার ছেলে রুবেলের সাথে ৬০ হাজার টাকা যৌতুকে ১ লক্ষ টাকা কাবিন করে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই বিভিন্ন দাবী নিয়ে আয়শার উপর স্বামী রুবেলসহ তার পরিবারের লোকজন নির্যাতন চালিয়ে আসছিল। এ বিষয়ে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদের নিকট বিচার প্রার্থী মেয়ের বাবা লিটন। শনিবার দুপুরে বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য লিটনকে ডেকে পাঠান চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ। ধুলাউড়ি ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে লিটন ও তার মেয়ে আয়শা উপস্থিত হয়। এ সময় চেয়ারম্যান ৩২ হাজার টাকা নিয়ে মেয়েকে তালাক নামায় স্বাক্ষর করতে বলেন। এতে লিটন অস্বীকার করলে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত কানের উপর সজরে থাপ্পর মারে। বাবাকে মারপিট করার সময় মেয়ে আয়শা বাধা দিলে গেলে তাকেও মারপিট করে চেয়ারম্যান। লিটন অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় লিটনের স্ত্রী ময়ুরী খাতুন বাদী হয়ে চেয়ারম্যান ও মেয়ের স্বামী রুবেলের ভাই ওবায়দুলকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলে ধুলাউড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জরিফ আহমেদ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি তাকে মারিনি অন্য একটা বিষয় নিয়ে আমার ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বর আব্দুল আজিজ তাকে থাপ্পর মেরেছে।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসাদুজ্জামান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।