পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার কৃষকরা গ্রীষ্মকালীন শিম চাষের মাধ্যমে লাভবান হচ্ছেন। এবার নতুন অটো, চকলেট, রূপভান স্থানীয় জাতের গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে ভালো ফলন পেয়েছেন। আটঘরিয়া পৌরসভা এলাকার উত্তরচক গ্রামের সবজি চাষি আনারুল ইসলাম জানান, প্রচুর জমিতে এবার গ্রীষ্মকালীন শিমের চাষ হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শিম চাষের ওপর প্রশিক্ষণ নিয়ে তারা এই নতুন জাতের শিম চাষ করেছেন। তাতে লাভবানও হয়েছেন।
আটঘরিয়া পৌরসভার ধলেশ^র মহল্লার কৃষক মো. জহুরুল ইসলাম প্রায় দেড় বিঘা জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘অসময়ে শিম তাই পোকা-মাকড়ের উপদ্রব ও উৎপাদন খরচ কম। শীতকালীন শিম চাষের চেয়ে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে রোগ-বালাই অনেকাংশে কম। তাই ওষুধ ও সার খরচও কম। এ সময় শিমের বাজারদরও ভালো পাওয়া যায়। প্রতি কেজি শিম পাইকারি মূল্য ১০০ থেকে ১২০ টাকা। গ্রীষ্মকালীন শিমের মৌসুম প্রায় শেষ।
তিনি আরো বলেন, বিঘাপ্রতি ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা খরচ হলেও এরই মধ্যে তিন মাসের এ সবজি চাষে আমি দেড় বিঘা জমিতে এক লাখ টাকার শিম বিক্রি করেছি। এখনো শিমের মাচায় যে শিম ঝুলছে তাতে আশা করছি আরো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারব।
সবজি চাষি রবিউল ইসলাম বলেন, শ্রাবণ মাসের প্রথম দিকে এই শিমের বীজ বপন করতে হয়। চারা বের হওয়ার ২৫ থেকে ৩০ দিনের মাথায় গাছে ফুল আসা শুরু হয়। দেড় মাস বয়সের গাছ থেকে শিম তোলা শুরু হয়। তিন থেকে চার দিন পর পর শিম তুলে আমরা বিক্রি করি।
আটঘরিয়া উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি অফিসার মো. আব্দুর রব জানান, (এনএটিপি-২) প্রকল্পের আওতায় এ উপজেলায় সিআইজি কৃষক সংগঠনের কৃষককে আর্থিকভাবে লাভবান করার উদ্দেশ্যে উচ্চ মূল্যের ফসল উৎপাদনের ওপর প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। প্রশিক্ষণ নিয়ে চাষিরা (আগাম চাষ) গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাযায়, উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় এবছর প্রায় ৯ হাজার ১শ ৫০ জন কৃষক ১৮’শ ৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীস্মকালীন সিমের আবাদ করেছেন। এর মধ্যে উপজেলার মাজপাড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি ১৪’শ ৭০ হেক্টর জমিতে সিমের আবাদ হয়েছে।