কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: নেত্রকোনা জেলার সদর উপজেলার সাকুয়া নূরপুর গ্রামের মৃত আছর উদ্দিনের পুত্র ৭১ এ যুদ্ধ করেও মুক্তিযোদ্ধার সনদ পায়নি বলে দাবি করেছে রনাঙ্গনের এ মুক্তিযোদ্ধা ।
একান্ত এক সাক্ষাতকারে কান্নাজড়িত কন্ঠে সাংবাদিকদের কাছে বলেন জীবন বাজী রেখে দেশের জন্য যুদ্ধ করে আজ আমি দেশান্তরী নিজের ভিটা সম্পদ বলতে কিছুই নেই । কিশোরগঞ্জ রশিদাবাদ সীমান্তপাড়া নরসুন্ধা নদীর পাড়ে খুড়ে ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করে আসছি। জীবনের শেষ প্রান্তে অসুখ বিসুখের মধ্যে দিনানিপাত করছি। অর্থের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছি এ জীবনে সরকারী বেসরকারী কোন সহযোগীতা পায়নি উল্টো চাহিদামত অর্থ দিতে না পারায় মুক্তিযোদ্ধা সনদটিও কপালে জুঠেনি। স্মৃতিচারণে দুলাল (৬৭) বলেন। ১৯৭১ সনে বঙ্গবন্ধুর ডাকে নেত্রকোনার বর্ডার দিয়ে ভারতের টুয়া জেলার হালিমপুর মাঠে ১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের উদ্দিনের ট্রেনিং শেষে গ্রæপ কমান্ডার ফরিদ উদ্দিনের সাথে নেত্রকোনার কমলা কান্দা, খালিয়াজুড়ি মদন, মোহনগঞ্জ বারহাট্রা থেকে রেখার (নিউজ) রাজাকারের সন্ধান নিতে কেন্দুয়া আসি সেখান থেকে ১১ নং গ্রæপ কমান্ডার পুতুল বাবু ও হোসেনপুরের রহমানের এর সাথে কিশোরগঞ্জ প্রবেশ করি এবং ১৭ ই ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জকে শত্রæ মুক্ত করি তাদের সাথে কিশোরগঞ্জেই থেকে যাই। স্বাধীনতার কয়েক বছর পর নিজ এলাকা নেত্রকোনার সাখুয়া নূরপুর গিয়ে দেখতে পাই আমাদের বাড়িঘর অন্যদের দখলে। পুনরায় ফিরে আসি কিশোরগঞ্জ। তার কিছুদিন পর সন্ধান মিলে মা বাবার, ফিরে যাই নেত্রকোনায় কিন্তু রক্ষীবাহিনীর অস্র উদ্ধারের নামে শুরু হয় অত্যাচার। বাধ্য হয়ে ফিরে আসি কিশোরগঞ্জ। বিভিন্ন সময়ে মুক্তিযোদ্ধার সনদের জন্য নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ দৌড়াদ্যেড়ি করেও চাহিদা মত অর্থ দিতে না পারায় আজও পায়নি সরকারের কোন সহযোগিতা, তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, কিশোরগঞ্জ থেকে প্রকাশিত ভোরের আলো সাহিত্য আসর মেগাজিনে আমাকে নিয়ে ২০১১ সালে একটি লেখা চাপিয়েছিল । তিনি কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আকুতি জানান এই দেশে অনেক ভুয়া লোককে মুক্তিযোদ্ধার সনদ দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর আগে আমার প্রাপ্যতা আমাকে বুঝিয়ে দিলে মনে শান্তি নিয়ে মরতে পারতাম।