রাজশাহী মহানগরীতে ভুল চিকিৎসায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর এক শিশুর মৃত্যুর হয়েছে। নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের সাড়ে তিন মাস বয়সী ওই শিশুর ভুল চিকিৎসায় হয়। তবে কর্তৃপক্ষ ভুল চিকিৎসার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মারা যাওয়া শিশুটির নাম মিথাইল সরেন। তার বাবার নাম কর্নেলিউস সরেন। মা সাবিনা মার্ডি। রাজশাহী নগরীর হড়গ্রাম পূর্বপাড়া খ্রীষ্টান কলোনিতে তাদের বাড়ি। নিউমোনিয়ার কারণে বুধবার বিকালে শিশুটিকে পপুলার ডায়াগনিষ্টক সেন্টারে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. বেলাল হোসেনকে দেখাতে নেয়া হয়েছিল। শিশুর স্বজনরা জানান, ডা. বেলাল হোসেন বাসায় থেকে অনলাইনে রোগী দেখছিলেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে তারা সিরিয়াল পান। সহকারীর মাধ্যমে অনলাইনে দেখে শিশুকে নেবুলাইজার দিতে বলেন ডা. বেলাল হোসেন। এরপর এক্স-রে করাতে বলেন। কিন্তু নেবুলাইজার দেয়ার পরই শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। তখন তড়িঘড়ি করে তাদেরকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে যাওয়ার পর শিশু মারা যায়। তার মৃত্যুর পর স্বজনরা শিশুর লাশ নিয়ে পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে অবস্থান নেন। শিশুর মৃত্যুর জন্য ভুল চিকিৎসার অভিযোগ তুলে তারা বিচার দাবি করেন। পরে পুলিশ আসে। রাত ১১টার দিকে স্বজনরা শিশুর লাশ নিয়ে বাসায় যান। এরপর লাশটি সমাহিত করা হয়। নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান বলেন, ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করছিলেন। পরে আমরা বললাম,আইনগত ব্যবস্থা নিন। আমরা লাশ নিয়ে ময়নাতদন্ত করব। কিন্তু তারা আর ময়নাতদন্ত করতে রাজি হলেন না। ময়নাতদন্ত না করার জন্য তারা থানায় অভিযোগ না করেই লাশ নিয়ে যান। জানতে চাইলে ডা. বেলাল হোসেন বলেন, নিউমোনিয়ার কারণে শিশুটির শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। তাই নেবুলাইজার দেয়া হয়েছে। এটি দেখেই স্বজনরা বলছেন,গ্যাস দিয়ে শিশুকে মেরে ফেলা হয়েছে। কিন্তু বিষয়টা সঠিক নয়। হাজার হাজার শিশু নেবুলাইজার নেয়। এটি ভুল চিকিৎসা হয়নি। উল্লেখ্য,পপুলার ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে প্রতিদিন এমন ঘটনা ঘটলেও স্থানীয় প্রশসন গুলো নিরব ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে।