সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার টেংরা গ্রামের আব্দুল হক (৩০) নামের এক যুবককে আয়ারল্যান্ড পাঠানোর নামে ভারতে আটকে রেখে দেশে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়কারী পিতা-পুত্রের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গত ২৩ আগষ্ট সোমবার সিলেটের এয়ারপোর্ট থানাধীন আম্বরখানাস্থ ঐক্যতান পীর-মহল্লার বাসিন্ধা আব্দুস সালাম (৪৮) ও তার ছেলে নাইমুর রহমান সাকিবকে (২৫) গ্রেফতার করেছে বিশ্বনাথ থানা পুলিশ। এর পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে পিতা-পুত্র দু’জনকে জেলহাজতে পাঠানো হয় এবং মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্যাট ৩নং আমলী আদালতে আসামিদের ৫দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত গত ৭ সেপ্টেম্বর ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।
প্রসঙ্গ, ২০১৯ সালের ১ আগষ্ট আব্দুল হককে আয়ারল্যান্ড পাঠানোর জন্য ১২লাখ টাকায় চুক্তি করেন দালাল আব্দুস সালাম। এর পর ৬আগষ্ট ভিসা তোলার কথা বলে তাকে ভারতে পাঠান দালাল সালাম। এর ৪/৫দিন পর দালাল সালামের ছেলে সাকিব ভারতে গিয়ে আব্দুল হককে ভিসা তোলার জন্য দিল্লিতে নিয়ে যান। সেখানে অ্যাম্বেসিতে না নিয়ে তাকে একটি বাসায় আটক করে ১০লাখ টাকা মুক্তিপণ চায়। এরপর দেশে থাকা আব্দুল হকের ভাই আব্দুর রবকে দিয়ে দালাল সালামের নিকট ১০লাখ টাকা মুক্তিপণ দেন। মুক্তিপণ আদায়ের এক মাস ২০দিন পর তাকে নয়া-দিল্লির নির্জন একটি স্থানে ফেলে দেয় দালাল চক্র। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে দেশে ফিরেন আব্দুল হক। এর পর চলতি বছরের ১এপ্রিল সিলেটের মানবপাচার প্রতিরোধ ট্রাইব্যুনালে আব্দুল হক একটি মামলা দায়ের করেন, (মামলা নং ২)। মামলার প্রেক্ষিতে পুলিশ পিতা-পুত্রকে গেফতার করেন।এব্যাপরে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই দেবাশীষ শর্ম্মা বলেন, গ্রেফতারকৃতদের পেশাই হচ্ছে দালালি। তারা ইউরোপ পাঠানোর কথা বলে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে তাদের দালাল চক্রের মাধ্যমে বৃহত্তর সিলেটের সহজ-সরল মানুষদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায় করে। তাদের ২দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে এবং জিজ্ঞাবাদে আরো তথ্য পাওয়া যাবে।