শেরপুরের সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইকুড়া গ্রামে অভিনব কায়দায় আবাদী জমি বেদখলের অভিযোগ উঠেছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়,পাইকুড়া মৌজায় ১১০৩নং দাগের ১৭শতাংশ জমি ২ব্যক্তি ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে গত প্রায় ৪০বছর ধরে ভোগ দখল করে আসছেন।সর্বশেষ আব্দুল করিম পূর্বেকার মালিকদের কাছ থেকে উক্ত জমিটির ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে গত প্রায় ১১বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছেন।এবার আমন ধান রোপণের সময় জমির মালিকানা দাবি করে হিম্মত আলীর ছেলে কেনু মিয়া,আা;ছামাদ,আব্দুল মোতালেব এই তিন ভাই, ভাতিজা জাহেদ আলীসহ ১৫/২০জনের একটি সঙ্গবদ্ধদল হঠাৎ উক্ত জমিতে লাল নিশান টাঙ্গিয়ে জমিতে আমন ধান রোপণ করে তড়িঘরি করে ঢাকায় চলে যায়।এলাকাবাসী জানায়,“এই জমি নিয়ে কোন প্রকার মামলা মোকাদ্দমা নেই। কেনু মিয়া গংরা হঠাৎ করে নিজেরাই উক্ত জমিতে লাল নিশান ব্যবহার করে এমন জবর দখলের কাজ করলেন কেন,বুঝতে পারছিনা।” জমির মালিক আব্দুল করিম জানান,“আমি ক্রয় সূত্রে জমি ভোগ-দখল করে আসছি, উপজেলা প্রশাসন, থানা বা কোর্টে কোন মামলা মোকদ্দমা নেই,কেনু মিয়া গংরা হঠাৎ লালনিশান টানিয়ে জমির মালিকানা দাবি করে ওই জমিতে আমন ধান লাগিয়ে ঢাকায় চলে গেছে।আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছিনা।” এ বিষয়ে লাল নিশান ব্যবহারকারী জাহিদুলের মোবাইলে বারংবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান,“আমরা জানিনা কে বা কাহারা লাল নিশান টাঙ্গিয়েছে।মহামান্য কোর্টের আদেশে বা খাশ জমিতে লাল নিশান টাঙ্গানোর বিধান রয়েছে, সাধারণ কোন নাগরিক নিজ উদ্যোগে লাল নিশান ব্যবহার করতে পারেন না।” উপজেলার নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) রুবেল মাহমুদ জানান,“বিজ্ঞ আদালত, উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃংক্ষলা বাহিনী ব্যাতীত লালনিশান টাঙ্গানোর কোন বৈধতা নেই,সাধারণ জনগন তা ব্যবহার করতে পারেন না।” এলাকাবাসী জানতে জিÁাসা,হিম্মত আলীর ছেলে কেনু মিয়া গংদের লাল নিশাণ ব্যবহার করে অন্যের জমি বেদখলের আইনত বৈধ্তা আদালত বা আইন শৃংক্ষলা বাহিনী কর্তৃক ক্ষমতা প্রাপ্ত কিনা? সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বিষয়টির প্রতি নজর দেবেন কি?