নওগাঁ-৬ (আত্রাই- রাণীনগর) উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন। গত ২৭ জুলাই এমপি ইসরাফিল আলম মারা যাওয়ায় এ আসনটি শুন্য হয়। আগামী ১৭ অক্টোবর নির্বাচনের দিন ঘোষনা করায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা মাঠে দৌড়ঝাঁপ এবং মোটর সাইকেল শোভাযাত্রা শুরু করলে নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে।
এলাকার মানুষের মাঝে আলোচনার বিষয় নির্বাচন এবং কে হচ্ছেন নৌকার মাঝি। আওয়ামী লীগের ৩৪জন মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রত্যেকেই আশাবাদী হয়ে এলাকায় প্রচার প্রচারনায় এগিয়ে রাখছেন নিজেকে। তবে সকলেই বলছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষে কাজ করবেন।
অপর দিকে কেন্দ্রের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেনে বিএনপি। এ আসনটিতে বড় দু’টি রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। বিএনপির ঘাঁটি বলে পরিচিত এ আসন ২০০৮ সালে ভোট যুদ্ধে দখলে নেয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ সরকার আমলের উন্নয়ন দাবি করে জয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায় তারা।
জানা গেছে, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিএনপি থেকে মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে বিজয়ী হন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সাবেক প্রতিমন্ত্রী আলমগীর কবীর। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সাবেক সাংসদ মুক্তিযোদ্ধা ওহিদুর রহমান ও ইসরাফিল আলম।
এক সময় এ দুই উপজেলা চরমপন্থী ও জেএমবি এলাকা হিসেবে পরিচিত থাকলেও আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর অনেকটায় নিয়ন্ত্রনে ছিল। তবে উপ-নির্বাচনের সময় কোন ধরনের প্রাণহানী চান না এলাকাবাসী। অপরদিকে কেহ যেন বিশৃংখলা করতে না পারে সে ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নজরদারি রয়েছে বলে পুলিশ প্রশাসম সূত্রে জানা যায়।
উপ-নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ থেকে প্রয়াত এমপি ইসরাফিল আলমের সহধর্মীনি সুলতানা পারভিন বিউটি, নওগাঁ জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও সংরক্ষিত আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন মনোয়ারা হক, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নওশের আলী, সাবেক সাংসদ ওহিদুর রহমান এর ছেলে নওগাঁ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক সুমন,নওগাঁ জেলা যুবলীগ সভাপতি খোদাদাদ খাঁন পিটু, এডভোকেট ড.জাহেদুল হক জাহিদ , আত্রাই উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি প্রয়াত সিদ্দিকুর রহমান রাজার ছোট ভাই সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ ইসলাম বিপ্লবের নাম বার বার উঠে আসছে বলে বিভিন্ন সূত্র জানা যাচ্ছে।