বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পৃথক ৪টি অভিযানে শুক্রবার চোরাই মোটরসাইকেল এবং মাদকদ্রব্যসহ ৮ জন কে গ্রেফতার করা হয়েছে। সদরের পুরান বগুড়া, শিববাটি, তেলিপুকুর এবং গাবতলী উপজেলায় পরিচালিত পৃথক পৃথক অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের থেকে মাদক উদ্ধার হয় ৭০ বোতল ফেন্সিডিল, ১’শ পিস ইয়াবা ও ১ কেজি গাঁজা। সেই সাথে মাদক ব্যবসায় ব্যবহৃত একটি ট্রাকও জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার দুপুরে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্যগুলি নিশ্চিত করেছেন বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ইনচার্জ আসলাম আলী পিপিএম। এজাহার ও গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার শহরের পুরান বগুড়া সরকারি আজিজুল হক কলেজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি চোরাই মোটরসাইকেলসহ (ফেজার, ভারসন ২.০, ১৫০ সিসি) দুইজন কে গ্রেফতার করা হয় তারা হলেন, সারিয়াকান্দি বাড়ইপাড়া গ্রামের ফুজায়েল আহমেদ ওরফে জন (৩১) এবং বগুড়া শহরের পালশা চৌকিরপাড়ার আরিফুর রহমান(৩৮)। ডিবির অপর একটি টিমের অভিযানে বগুড়ার তেলিপুকুর এলাকায় পাথর বোঝাই ট্রাকে তল্লাশি করে স্কুল ব্যাগের ভিতরে থাকা ৭০ বোতল ফেন্সিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় গ্রেফতার করা হয় ২ জনকে যথাক্রমে জয়পুরহাট ক্ষেতলালের সাইদুল ইসলাম ওরফে শহিদুল(৩৮) ও দিনাজপুর বিরামপুরের রবিউল ইসলাম (২৫)। এসময় মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহৃত সেই ট্রাকটিও জব্দ করা হয়েছে। এছাড়াও বগুড়ার গাবতলি উপজেলায় এক অভিযানে ১’শ পিস ইয়াবাসহ আজিজুল হক (৪০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজিজুল গাবতলির চকরাধিকার গ্রামের বাসিন্দা। এছাড়াও বগুড়া শহরের শিববাটি এলাকায় ডিবির পৃথক একটি মাদক বিরোধী অভিযানে ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, শহরের সুলতানগঞ্জপাড়ার আলী আকবর বাদল(৫৬), দুলাল প্রামাণিক(৩৮) ও শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়া এলাকার রেজাউল করিম(৩২)।
বগুড়া জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি আসলাম আলী পিপিএম জানান, গ্রেফতারকৃত আসামীদের মাঝে আলী আকবর বাদলের বিরুদ্ধে মাদক আইনে পূর্বের আরো ১টি মামলা রয়েছে এবং চোরাই মোটরসাইকেলসহ গ্রেফতার ফুজায়েল আহম্মেদ ওরফে জনের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানাতেই পূর্বের ৩টি মামলা রয়েছে যা বর্তমানে বিচারাধীন। গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে পৃথক পৃথকভাবে সদর ও গাবতলী থানায় মামলা দায়ের করে তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ডিবির ওসি আরো জানান, জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) এর নেতৃত্বে করোনা দুর্যোগের মাঝেও সকল প্রতিবন্ধকতাকে উপেক্ষা করে জিরো টলারেন্সভাবে বগুড়াকে মাদক ও অপরাধমুক্ত না করা পর্যন্ত এই অভিযান চলমান থাকবে।