বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে একমাত্র তিনটি ওয়ার্ড নিয়ে একটি গ্রাম হচ্ছে আমতৈল। উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের সেই গ্রামের লোক সংখ্যা প্রায় ৩০ হাজার। তাদের সিংহভাগই সরকারি কার্ডধারি মৎস্যজীবি। তারা মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে পরিবারে মুখে আহার জোগাড়ের পাশাপাশি সন্তানদের পড়া লেখা ও চিকিৎসার খরচও একমাত্র মাধ্যম।কিন্তু এসকল মৎস্যজীবিদের অনেকেই মাছ ধরতে না পারায় আজ প্রায় একটি বছর ধরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে চরম কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছেন। তার উপরে বর্তমান করোনার প্রভাবও রয়েছে। এসকল পেশাদার মৎস্যজীবিদের স্থানীয় গুলিয়া ও পুনিয়া খালে মাছ ধরতে বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছেন পার্শবর্তি খাজাঞ্চি ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার শহিদ মিয়া, দুদু মিয়া, আব্দুল আকিব, লিলু মিয়া, রইছ আলী, ছইদ আলী, বাদশা মিয়া ও চাঁন মিয়া গংরা।তারা সবাই প্রভাবশালী ও বিএনপি নেতা উল্লেখ করে গত বছরের ৩১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও চলতি বছরের ৮জানুয়ারি থানায় লিখিত ভাবে পৃথক আবেদন করেছেন আমতৈল গ্রামের মৎস্যজীবি হুমায়ুন রশিদ, কাহের মিয়া ও বকুল মিয়া। তার মধ্যে নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক মেম্বার শহিদ মিয়া।তাদের লিখিত আবেদনে উল্লেখ করেন, যে ওই দুটি খালে মাছ ধরতে গেলে শহিদ মিয়া মেম্বারের নেতৃত্বে মৎস্যজীবিদের উপর দেশীয় অস্ত্র ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালানো হয়। আর না হলে চাঁদা হিসেবে মাছের চার ভাগের তিন ভাগ অথবা বার্ষিক হারে তাদেরকে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা দিতে হয়।এব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্ণালী পাল সাংবাদিকদের বলেন, তৎকালিন ভারপ্রাপ্ত ইউএনও উভয় পক্ষকে নিয়ে সমঝোতা বৈঠক করা হয়েছে। অভিযুক্তরা যাহাতে মৎস্যজীবিদের মাছ ধরতে বাঁধা না দেন সেজন্য অনুরুধ করা হয়েছে।বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন- চার্জ (ওসি)শামীম মূসা সাংবাদিকদের বলেন, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাসিল্যান্ড ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।কিন্তু মৎস্যজীবিরা বলছেন মাছ ধরতে গেলে তারা বাঁধার সম্মুখিন হতে হচ্ছেন।এদিকে অভিযুক্ত শহিদ মেম্বার তার উপরে আনিত অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে সাংবাদিকদের বলেন, উক্ত জলাশয়ে তাদের এলাকার লোকজন মাছ ধরতে গেলে উল্টো মৎস্যজীবিরা বাঁধা দেয় বলে তিনি জানান।