নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে সংবেদনশীলভাবে নিজেদের সর্বোচ্চ প্রয়াসের মাধ্যমে থানায় আগত সেবাগ্রহীতাদের শতভাগ সেবা প্রদানের ঘোষণা করেছেন বগুড়া জেলা পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বিপিএম (বার) যার লক্ষ্যে জেলার সকল ওসি এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনাও প্রদান করেছেন তিনি।
লিঙ্গ ভিত্তিক বৈষম্য রোধে নারী ও কণ্যা শিশুর সুরক্ষা নিশ্চিতে বাংলাদেশ পুলিশ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন টেকসই উদ্যোগ গ্রহণ প্রকল্পের আওতায় বগুড়া জেলা পুলিশ ও জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর আয়োজনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে মঙ্গলবার পুলিশ লাইন্স অডিটোরিয়ামে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উক্ত ঘোষণা দেন।
কর্মশালায় এসপি আলী আশরাফ আরো বলেন, ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গিকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে সেবার মনোভাব নিয়ে কাজ করে যেতে হবে। সেই সাথে জেলার সকল থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের কর্মকর্তাদের আরো বেশী সংবেদনশীল ও সহমর্মিতাসম্পন্ন হয়ে কাজের আহব্বান জানান জেলা পুলিশের এই কর্ণধার। কর্মশালায় পর্যায়ক্রমে আরো বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার যথাক্রমে আলী হায়দার চৌধুরী (প্রশাসন), আব্দুর রশিদ (অপরাধ), রফিকুল ইসলাম (ইন-সার্ভিস), তাপস কুমার পাল (সদর) এবং সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (গাবতলী সার্কেল) সাবিনা ইয়াসমিন। কর্মশালায় দিনব্যাপী বিভিন্ন বিষয়ে সেশন পরিচালনা করেন ইউএনএফপিএ’র ডিস্ট্রিক্ট ফ্যাসিলিটেটর তামিমা নাসরিন। এছাড়াও কর্মশালায় বিভিন্ন বিষয়ে অফিসার ইনচার্জদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ুন কবির, শিবগঞ্জ থানার ওসি এস.এম বদিউজ্জামান, নন্দীগ্রাম থানার ওসি শওকত কবির, গাবতলী থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত আনোয়ার হোসেন এবং নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক কর্মকর্তাদের মাঝে সদর থানার এস.আই রোজিনা খাতুন প্রমুখ। দিনব্যাপী কর্মশালায় জেলার ১২টি থানার অফিসার ইনচার্জ, নারী, শিশু, বয়স্ক এবং প্রতিবন্ধী হেল্প ডেস্কের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ জেলা পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা এবং ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিরা দিনব্যাপী প্রাণবন্তভাবে উপস্থিত ছিলেন এবং জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধে করণীয় ও বিভিন্ন বিষয়ে কাজের ধরণ নির্ধারণ ও পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে ভিন্নধর্মী এই কর্মশালা সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে মর্মে জানান জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সনাতন চক্রবর্তী। উল্লেখ্য, পুলিশ সুপার আলী আশরাফের নেতৃত্বে ইতিমধ্যেই জেলার ১২টি থানাতেই নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে যেখানে নিয়োজিত একজন নারী কর্মকর্তার মাধ্যমে অংসখ্য সেবাগ্রহীতাদের অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করা হচ্ছে যা ইতিমধ্যেই পুরো জেলায় জনসাধারণের মাঝে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছে।