মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জে উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের লক্ষিপুর গ্রামে সুরঞ্জিত পালের বাড়িসহ অন্যান্য বাড়ীতে চুরির ঘঠনায় পুলিশের হেফাজত থেকে চুরকে ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় দেখা দিয়েছে চরম উত্তেজনা। ভুক্তভোগী সুরঞ্জিত পাল, প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী মোঃ আখলিছ মিয়া, মজনু মিয়া, মোঃ ফারুক হায়দার ও দীপক ঘটনার সত্যত্যা স্বীকার করে বলেন- গত ২০ আগষ্ট রাতে সুরঞ্জিত পালের বাড়িতে এক দুধর্ষ চুরি সংঘটিত হয়। চুরেরা ঘরের মুল্যবান মালামাল নিয়ে যাবার সময় তাদের হাল্লা চিৎকার শুনে এলাকার অন্যান্য লোকজন বেড়িয়ে আসেন। রাত অনুমান ৩ ঘটিকায় বিষ্ণুপুর এলাকার আখলিছ মিয়াসহ অন্যান্য লোকজন ১নং রহিমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়ার পুত্র বাবেল মিয়া (২৮) চোর সন্দেহ করে তাকে আটক করে কমলগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। এ সময় টহলরত থানার এএস আই হামিদুর রহমানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন। শেষে অজ্ঞাত কারনে আটককৃত চোরকে পুলিশ ছেড়ে দিলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এরই জেরে গতকাল বিষ্ণপুর গ্রামের তাহির মিয়ার পুত্র প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী আখলিছ মিয়ার উপর দুপুরে চৈত্রঘাট বাজারস্থ সত্য দেবের দোকানের সামনে ইউপি সদস্য মাহমুদ মিয়ার নেতৃত্বে হামলা লুটপাট করার অভিযোগ উঠে। এ ঘটনায় আখলিছ মিয়া কমলগঞ্জ থানায় মাহমুদ মিয়াকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।