বগুড়ায় শ্যালিকা কে অপহরণের মামলায় ভগ্নিপতির ১৪ বছরের কারাদন্ড

বগুড়ার শিবগঞ্জে শ্যালিকাকে অপহরণের মামলার রায়ে ভগ্নিপতিকে ১৪ বছর কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছে আদালত। সোমবার বগুড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-২ আদালতের বিচারক নুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদালতের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটার আশেকুর রহমান সুজন এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার পিরবের বুলু সরদারের কন্যা সালমা আক্তারকে (২২) বিয়ে করে ওই উপজেলার নড়াইলের নুরু ইসলামের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস। স্ত্রী সালমা আক্তার ৮ মাসের গর্ভবতী থাকা অবস্থায় এসএসসি পরীক্ষার্থী শ্যালিকা সালেহাকে পিরব বাজার এলাকা থেকে গত ২০১৫ সালের ৩ জানুয়ারি অপহরণ করে ভগ্নিপতি আব্দুল কুদ্দস। পরে ওই ঘটনায় সালেহার ভাই শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ৯ জানুয়ারি শিবগঞ্জ থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করে আব্দুল কুদ্দুসের নামে। পুলিশ গত ২০১৫ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে সালেহাকে উদ্ধার করে এবং আব্দুল কুদ্দুসকে গ্রেপ্তার করে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুল বাসিদ তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। তিনি আরও জানান, সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামির উপস্থিতিতে সোমবার আদালত আসামি আব্দুল কুদ্দুসকে ১৪ বছর সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন। এছাড়া ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ১ বছরের কারাদণ্ডের রায় প্রদান করেন।