“খানসামায় নিলাম ছাড়াই ব্রীজ ভাঙ্গার অভিযোগ: সরকারী অর্থ আত্মসাৎ” শিরোনামে গত ১৯ ও ২০ আগস্ট কয়েকটি জাতীয়, স্থানীয় ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার পাকেরহাটস্থ উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন বলেন, উপজেলার টংগুয়া হতে পাকেরহাট রাস্তায় ৮.৭০ মিটার স্লাব কালভার্টটি ২০১৭ সালের বন্যায় বিধস্ত হয়। এই ব্রীজটি ভাঙ্গার জন্য নিলামে সরকার নির্ধারিত মূল্য প্রায় ৫৬ হাজার টাকা হওয়ায় নিলামে অংশগ্রহন করেও কোন ব্যক্তি বা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিতে রাজি হয় নি। কারণ প্রায় ২০ হাজার টাকা মূল্যের ঐ ব্রীজটি ভাঙ্গতে ও অবমুক্ত করতে প্রায় লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়েছিল। ব্রীজটি অপসারণ না করলে ৭৬ লক্ষ টাকা মূল্যের নতুন ব্রীজের কাজ শুরু করা যাচ্ছিল না। এ অবস্থায় নিলাম ছাড়াই সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকারকে জনবল দিয়ে সহযোগিতা করে তা ভাঙ্গানোর ব্যবস্থা করি। নিলাম ছাড়াই ভাঙ্গার কারণে বিধ্বস্ত ব্রীজটির প্রায় ৭৫ ভাগ ইট অত্র এলাকার লোকজন নিয়ে যায়। বিষয়টি অন্য খাতে প্রবাহিত করে একটি কুচক্রী মহল আমাকে সহ প্রকৌশলী সুবীর কুমার সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৮ সালে ক্ষমতাশীল দলের নেতার বিরুদ্ধে
দুর্ণীতির সংবাদ প্রকাশ করায় আমার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মিথ্যা মামলা দেয়
এবং আমাকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ঐ সময়ের দায়েরকৃত মিথ্যা
মামলা গুলি কোন রকম সাক্ষ্য প্রমাণ দিতে না পারায় আমি বেকসুর খালাস হই।