এনামুল হক টগর
মানুষের দুঃখ কষ্ট অভাব অনাটন আর তৃষ্ণার গভীর থেকে-
জীবনের জিজ্ঞাসাগুলো ধীরে ধীরে প্রশ্ন করে নিজেকে,
আর নিরবে নিরবে নিজেকে বিজ্ঞতায় প্রজ্ঞাময় করে তোলে প্রকাশ্যে ও গোপনে।
জ্ঞানের দহন যন্ত্রণার পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে অভিজ্ঞ হতে থাকে নিপুণ!
তাঁর জানার আকাঙ্খাকে তপস্যার মাধ্যমে অনুসন্ধান করতে থাকে যৌবনের গভীরে ।
বাস্তবতার উন্মেষ থেকে সে দেশ সমাজ ও পৃথিবীকে জানতে থাকে ধীরে ধীরে।
প্রত্যেকেই নিজেকে চেনার জন্য গবেষণা করতে হয় জ্ঞানে,
জগৎ ও মৃত্তিকা যেন এক অদৃশ্যে ভেদের ভেতরেই বৈচিত্রময় রং কে করে নিরব দর্শন!
সৃষ্টির মূলীভূত সংবেদনশীল ও বেদনাহীন জড়ের গভীর থেকেই নির্বাক জীবনের জ্ঞান চৈতন্য!
আর তা থেকেই মানব দেহের স্বভাব আকার আকৃতি গড়ে ওঠে সৃষ্টিশীল চেতনার নির্মাণে।
এই মহা-চৈতন্যের উদ্ভব বিকাশ জ্ঞান আর প্রজ্ঞাই আগামীর জন্য তৈরী করে নতুন সেবা পণ্য।
জীবন জিজ্ঞাসার গভীরেই নিজেকে জাগরণ করাতে হয় প্রকাশ ও গোপন!
মহা-চৈতন্যে নিজেকে চিনতে পারলেই অজানা এক মহা-রহস্যের পরিচয় অবিস্মরণীয়!
যা ক্ষুদ্রের ভেতর থেকেই এক বৃহৎ চেতনার অবিচ্ছেদ্য প্রজ্ঞা চক্রাকারে উদয়।
২১/০৮/২০২০