গণপরিবহনে বর্ধিত ভাড়া থাকছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত

করোনাকালীন সময় শর্তসাপেক্ষে বর্ধিত ভাড়ায় গণপরিবহন চালু করেছিল সরকার, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে সেই ভাড়ার পরিবর্তে আগের ভাড়া কার্যকর করার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

সেই প্রস্তাব পেয়ে আগামী ৩১ আগস্টের পর গণপরিবহন আর বর্ধিত ভাড়া নেয়া যাবে না- এমনকি প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে মন্ত্রিপরিষদে প্রস্তাবনা পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।

বুধবার ( ১৯ আগস্ট) বিকেলে বিআরটিএ’র প্রধান কার্যালয়ে গণপরিবহন মালিক-শ্রমিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ বিষয়ে বিআরটিএর উপ-পরিচালক (ইনফোর্সমেন্ট) আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, আমরা একটি প্রস্তাবনা পাঠানোর কথা ভাবছি, যাতে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বাসের দুই সিটের জায়গায় সিটে একজন করে বসবে এবং তারপর থেকে আগের বর্ধিত ভাড়া আর বলবৎ থাকবে না।

তিনি বলেন, ৩১ আগস্টের পর সেপ্টেম্বর থেকে আগের ভাড়ায় বাসে যাতায়াত করা যাবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব তৈরি করে আমরা সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠাবো। ভাড়া কমানোর প্রস্তাবের সঙ্গে দুই সিটে দুজন যাত্রী বসা, প্রত্যেকের মাস্ক পরা, গাদাগাদি করে যাত্রী না তোলাসহ কয়েকটি নির্দেশনা থাকবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

বৈঠকে অংশ নেয়া বাংলাদেশ বাস পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘‘আমরা দাবি জানিয়েছি যে, আগের ভাড়ায়ই ফিরে যাওয়া হোক। এক্ষেত্রে যাত্রীরাও অতিরিক্ত ভাড়া থেকে বাঁচবেন আবার গণপরিবহনের শ্রমিকরাও বাঁচবেন।’’

‘‘এক্ষেত্রে আমরা মাস্ককে বাধ্যতামূলক করার কথা বলেছি। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধি ও সুরক্ষা নীতি মানাসহ গাদাগাদি করে কোনো পরিবহনে যেন যাত্রী না ওঠে সেটা নিশ্চিত করার কথা বলেছি।

এসব এই মাসেই বিআরটিএ প্রস্তাবনা আকারে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে কেবিনেটে পাঠাবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সেখানেই হবে। তবে এর আগে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বর্ধিত ভাড়ায়ই চলবে গণপরিবহন।’’ বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদারের সভাপতিত্বে বৈঠকে মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধি, ডিএমপি, হাইওয়ে পুলিশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ১২ আগস্ট অ্যাডভোকেট মো. আতিকুর রহমানের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হাসিম উদ্দিন গণপরিবহনের ভাড়া ৬০ শতাংশ বাড়িয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপন স্থগিত চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিআরটিএ চেয়ারম্যানের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।

গত ৩১ মে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালুর অনুমতি দেয় সরকার। ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধির বেশ ভালো প্রয়োগেই চলছিল গণপরিবহন। তবে ঈদযাত্রায় ও ঈদ-পরবর্তী থেকে স্বাস্থ্যবিধির ধার ধারছে না গণপরিবহন। অনিয়ম করে যাত্রী বেশি নেয়া হচ্ছে। আদায় করা হচ্ছে বর্ধিত ভাড়াও।