বড়াইগ্রাম থানার ইন্সপেক্টর সুমনের করোনায় মৃত্যু

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি
নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন আলী (৩৮) কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত অবস্থায় ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থেকে বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে মারা গেছেন। ঢাকায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, জুলাই মাসের শেষের দিকে শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে সুমন বড়াইগ্রাম হাসপাতালে নমুনা দেন। কিন্তু ফলাফল নেগেটিভ আসলেও শ্বাসকষ্ট বাড়তে থাকে। পরে ২ আগষ্ট তাকে ঢাকার রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসলেও ৫ আগস্ট সিটিস্ক্যান রিপোর্টে তাঁর ক্ষতিগ্রস্থ ফুসফুসে করোনা উপসর্গ থাকার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। ৬ আগস্ট তাকে আইসিইউতে এবং ৮ আগস্ট থেকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। সেখানে ছয় দিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বৃহস্পতিবার রাত ১টা ৩৭ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। শুক্রবার বিকালে দৌলতপুরে তার লাশ দাফন করা হবে বলে তিনি জানান।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি দিলীপ কুমার দাস বলেন, বড়াইগ্রাম থানার মোট ১৩ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে সাতজন সুস্থ হয়েছেন, পাঁচজন আইসোলেশনে আছেন। এই প্রথম নাটোর জেলায় কর্মরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। ঈদুল আজহার আগে গরুভর্তি একটি ট্রাক লুটের মামলার তদন্তে তিনি নারায়ণগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়েছিলেন। এরপরই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি।