জমিজমা সংক্রান্ত ঘটনায় দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে দিনাজপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের সদস্যরা।
আজ সকালে দিনাজপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, পৈত্রিক ৪০ শতাংশ সম্পত্তির মধ্যে ৩৪ শতাংশ জমি দখল এবং কেনাবেচার বিষয় নিয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অশোক কুমার চৌহান, এসআই মশিউর রহমান ও অন্য ৩ জন পুলিশ সদস্য অর্থের বিনিময়ে একটি পক্ষের পক্ষপাতিত করছে।
তারা অভিযোগে বলেছেন,নবাবগঞ্জ থানার ভাদুরিয়া গ্রামের ২০৫ নং দাগের ৩৪ শতক জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য বাধ্য করতে মেম্বার মো: হারুননুর রশিদ ও স্থানীয় প্রভাবশালী মো: ইফতিখার রহমান,শহিদুল ইসলামের যোগসাজোশে নবাবগঞ্জ থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশ সাদা কাগজে স্বাক্ষর চায়, আমরা স্বাক্ষর দিতে অস্বীকার করলে ওসির নির্দেশে বিনা কারনে তারা সারাদিন আমাদের থানায় বন্দী রেখে ভয়ভীতি দেখায় ও মানসিক নির্যাতন করেছে। পরে থানা হাজতে আমাদের আটক রাখার বিসয়টি জানাজানি হয়ে গেলে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ছাড়ানোর ব্যবস্থা করেন।
তারা বলেন,এই জমি নিয়ে আমাদের সাথে চাচা আব্দুর রহমান বাবলু ও ফুপু আবেদা খাতুনের সাথে জমির বেচাকেনা নিয়ে বিরোধ চলছিলো মাঝে স্বার্থসংশ্লীষ্ট কারনে থানা পুলিশ ও প্রভাবশালীরা ঢুকে বিভিন্ন ভাবে আমাদের হয়রানীসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছে ঝমি ছেড়ে দেয়ার জন্যে। প্রকৃত অর্থে আমরাই ওই জমির মালিক তাই প্রশাসনের কাছে দাবী করছি আমাদের নিরাপত্তা দিন এবং জমি পেতে সাহায্য করুন এবং জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নবাবগঞ্জের ভাদুরিয়া গ্রামের মো: ফরিদুল ইসলাম,উপস্থিত ছিলেন ছানারুল ইসলাম,শামসুল ইসলাম ও ছালেহা বেগম।