কিশোরগঞ্জ জেলা সদর গাইটাল এলাকায় অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীকে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগে প্রকাশ কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন হাই স্কুলে অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী নাবিলা আক্তার পুতুলের গতকাল মঙ্গলবার সগড়া এলাকার বাদন মিয়ার সাথে কোর্টে এফিডেফিটের মাধ্যমে বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে পুতুলের বাবার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মানিক মিয়া বলেন আমার মেয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন হাই স্কুল থেকে পরীক্ষার্থী ছিল তবে বয়স হয়েছে তাই বিয়ে দিয়ে দিয়েছি ।
এলাকায় উক্ত বাল্য বিয়ে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে ।শহরের প্রাণ কেন্দ্রে এই ভাবে বাল্য বিয়ে হলে গ্রাম এলাকায় বিয়ে টেকানো সম্ভব নয় বলে দাবি করেন অনেকের নোটারী পাবলিকে বিয়েটি সম্পন্ন হওয়ায় নোটারী পাবলিকের এ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম কাজলের কাছে মোবাইলে বাল্য বিয়ে নোটারী করা যায় কিনা বা জন্ম নিবন্ধন ছাড়া বিয়ে করানো যায় কিনা ? উত্তরে তিনি বলেন সারা দেশেই এরকম বিয়ে হচ্ছে, নোটারীতে ঠিকানা ভুল রয়েছে এই বিষয়ে বলেন এটা অভিভাবকের বিষয় । তারা যে ঠিকানা দিয়েছে তা লিখা হয়েছে।তাদের বয়স সম্পর্কে এ প্রতিনিধিকে বলেন, অভিভাবক আসলে এসব বিয়ে হয়ে থাকে। কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তার নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায় । বিষয়টি নিয়ে অন্য একজন শিক্ষক নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, স্কুল বন্ধ থাকায় আমরা সঠিক তথ্য দিতে পারবো না । উল্লেখ্য যে নোটারী পাবলিকে বাদন মিয়ার যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে তা নান্দাইল উপজেলা, কিন্তু লেখা হয়েছে কিশোরগঞ্জ উপজেলা ।