নওগাঁর সাপাহারে ইউপি সদস্য হারুনের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠেছে। হারুন উপজেলার তিলনা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য (ইউপি মেম্বার)ও তিলনা চক গ্রামের আলিমুদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দোয়াশ পশ্চিমপাড়া গ্রামে সোলায়মানের মেয়ে লিপি আক্তার (২৮) স্বামীর সংসারে কলহের জেরে তালাক প্রাপ্ত হয়ে পিত্রালয়ে ফিরে এসে বসবাস করতে থাকে। ইউপি সদস্য হারুন বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে সময় অসময়ে ওই বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে। এক পর্যায়ে ওই পরিবারের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইউপি সদস্য হারুন। ওই বাড়িতে ইউপি সদস্যের অবাধ চলাচলের বিষয়টি নজরে আসে গ্রামবাসীর। প্রায় মাস খানেক পূর্বে ইউপি সদস্য হারুন ও স্বামী পরিত্যক্তা মেয়েটিকে এক ঘরে অসামাজিক অবস্থায় হাতে নাতে ধরে ফেলে গ্রামবাসী। এসময় তারা গ্রামবাসীকে জানান তাদের দুজনের বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। গ্রামবাসী বিবাহের উর্পযুক্ত প্রমানাদি বা বিবাহের রেজিস্ট্রি কাগজ দেখিতে চাইলে তারা পাঁচদিনের সময় চায়। পরবর্তীতে বিবাহের একটি জাল নকল দেখান বলে গ্রামের মুরুব্বী মাতাব্বর গন জানিয়েছেন।
সোমবার (১০ আগস্ট) বিবাহের সঠিকতা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে লিপি আক্তার জানান, আমাদের দু’জনের মধ্যে এবিষয়ে কোন অভিযোগ বা সমস্যা নেই, আমি বা আমরা কাগজ দেখাতে বাধ্য নই। যদি দেখাতে হয় তাহলে উচ্চপদস্থ প্রসাশনের নিকট অভিযোগ হলে তখন দেখাবো।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য হারুনের সাথে সাংবাদিকদের মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, আমি এবিষয়ে ফোনে কোন কথা বলতে চাই না। তবে আগামীকাল বিশেষ কাজে নওগাঁ যাব সেখান থেকে ফিরে এসে সরাসরি আলাপ করব।
উল্লেখ্য, হারুনের বিরুদ্ধে অনেক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে বলেও ওই এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ইউপি চেয়ারম্যান, সদস্য সহ আরো অনেকে জানিয়েছেন।