মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার আমতৈল ইউনিয়নের হরিপুর গ্রামের মাসুক মিয়ার পুত্র অলিউর রহমান সোহেলের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার মীরপুর (উত্তর) গ্রামের আবদুল জব্বার মিয়ার পুত্র রুহেল আহমদকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে। সুত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী রুহেল আহমদ ও অলিউর রহমান সোহেল পরস্পর আত্মীয় হন,তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক ছিলো। একসময় অলিউর রহমান সোহেল, রুহেল আহমদ কে বলেন তার (সুহেলের) ভাই কাতারে বসবাস করছেন এবং তিনি কিছু ভালো ভিসা বের করছেন যদি ইচ্ছে থাকে তাহলে ভিসা নিয়ে কাতার যেতে পারেন। তখন রুহেল আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং অলিউর রহমান সোহেলের সাথে এবিষয়ে কথাবার্তা বলতে থাকেন। একপর্যায়ে রুহেল অলিউর রহমান সোহেলের সাথে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভিসার মূল্য সর্বসাকুল্যে ৩,০০,০০০/(লক্ষ) টাকা নির্ধারিত করা হয়। এবং উভয় পক্ষের সম্মতিতে কথা হয় ভিসা বাবত রুহেল কাতার যাওয়ার আগে ২,০০,০০০/ (দুই লক্ষ) টাকা এবং সেখানে যাওয়ার পরে ১,০০,০০০/(এক লক্ষ) টাকা অলিউর রহমান সোহেল কে প্রদান করবেন। অতঃপর রুহেল আহমদ কথা মতো ২,০০,০০০/(দুই লক্ষ) টাকা অলিউর রহমান সোহেলকে প্রদান করেন এবং কথা থাকে যে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি তিনি (সোহেল) রুহেল আহমদকে কাতার দেশে পাঠাতে ব্যর্থ হন তাহলে কোনো ওযর আপত্তি ও সময় ক্ষেপন ছাড়াই রুহেল আহমদের টাকা তাকে ফিরিয়ে দিবেন। পরবর্তীতে নির্দিষ্ট সময়ে অলিউর রহমান সোহেল ভুক্তভোগী রুহেল আহমদকে কাতারের ভিসা প্রদানে ব্যার্থ হলে রুহেল আহমদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা ফেরত দিতে আজকাল করে সময় ক্ষ্যেপন করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি রুহেল আহমদকে বলেন তিনি ৫০,০০০/(পঞ্চাশ হাজার)টাকা নগদ প্রদান করার শর্তে গত ০৯/০৬/২০২০/ ইং তারিখে ১,৫০,০০০/ (এক লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক মৌলভীবাজার শাখার তার নিজ নামিয় একটি চেক প্রদান করেন যাহার চেক নাম্বার -৪১২০০৯৬ নির্দিষ্ট সময়ে চেকটি নিয়ে ব্যাংকে গেলে পর্যাপ্ত পরিমাণের টাকা না থাকায় ব্যাংক কতৃপক্ষ চেকটি ডিজঅনার হয়। এরপর থেকে অলিউর রহমান সোহেল ভুক্তভোগী রুহেল আহমদের সাথে আর কোনো যোগাযোগ না করে এদিক ওদিক পালাতে থাকে। এমতাবস্থায় কোনো উপায় না পেয়ে রুহেল আহমদ অলিউর রহমান সোহেলের বরাবর উকিল নোটিশ পাঠালে সে বা তার পরিবারের কেও নোটিশটি গ্রহণ করেনি। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় সে সহ তার পরিবারের লোকজন তাদের বসতবাড়িতে তালা দিয়ে বাড়ি থেকে অন্যত্র পালিয়ে গেছে। এতোগুলা টাকা পাওয়াতে অনিশ্চয়তার কথা ভেবে ভুক্তভোগী যুবক রুহেল আহমদ মানষিক ভাবে এখন পুরোটাই বিপর্যস্ত।