মৎস্য দোকানে দাঁড়িয়ে
ছিলাম ক্রেতা মোরা দুই।
দাম করিনু একটি বড় রুই।
দোকানী চাইল ৪০০ টাকা কেজি।
বললাম তারে ৩০০ করে দিব
যদি থাকো রাজি।
পাশের জন সাড়ে তিনশো দরে নিয়ে
ধরল আমার সাথে বাজি ।
মাছটি ব্যাগে ভরে আড় চোখে দেখে মোরে
বললাম না তারে কিছু কঠিন ধৈর্য ধরে।
একজনের উপর দাম করে কোন কিছু কেনা।
শরীয়তে রয়েছে সম্পূর্ণরূপে মানা।
এবার গেলাম গোহাটী গরু কিনব বলে
মালিক হাঁকিল দেড় লাখ
আমি বললাম এক লাখ দশ
পাশের একজন জন বললো এক লাখ বিশ
দিব তোমায়, যদি রাজি থাকো তুমি
এ কথা শুনে সটকে পড়লাম আমি ।
তাদের চোখের সামনে থেকে হয়ে গেলাম আড়াল
মনে করলাম দেখা করি ফের গরুওয়ালার সাথে
দেখেই তো অবাক যে করেছিল দাম রশি তার হাতে।
জিগানূ আমি আসল মালিক কে
বলিল একজন ঐ যে গাছের গোড়ায় আছে সে।
যে ধরে আছে রশি, সে হলো দালাল।
দাম বাড়ানোর জন্য মালিক করেছে তারে সেট
এ কাজের জন্য দালালরা হলো বেস্ট।
সর্বত্রই চলছে দালালদের হয়রানি
সাধারণ মানুষের বাড়ছে শুধু পেরেশানি ।
হাট-বাজার গ্রামগঞ্জে ক্লিনিক ডাক্তারের চেম্বারে যেখানে যাবেন পড়তে হয় দালালদের খপ্পরে।
দালালি করে উপার্জন করা বৈধ পন্থা নয়
মানুষের চোখে সে অবশ্যই ঘৃণার পাত্র হয়।
হাদিসে আছে :-
একজনের দর করতে অন্যজন করিও না দাম
প্রতারণা করে দালালি করা হারাম। হে মাবুদ মোদের রক্ষা করো:-
দালালির মতো জঘন্য কাজ করা হতে
যেহেতু ইহা জায়েজ নাই
ইসলামী শরীয়ত মতে।