যশোরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনা রোগী

ইয়ানূর রহমান : যশোরে প্রতিনিয়ত বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। স্বাস্থ্য ও প্রশাসনের শত চেষ্ঠায় নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে না।
তবে স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে মানুষ শিক্ষিত হলেও তাদের মধ্যে সচেতনাতার অভাবের কারনে বাড়ছে জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা।
শুক্রবার ৭ আগস্ট যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনোম সেন্টারে জেলার ১৬৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৭৭ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সিভিল সাজন ডা শেখ আবু শাহীন বলেন, শনাক্তকৃত ৭৭ জনের মধ্যে সদর উপজেলার
৪৮ জন, শার্শা উপজেলার ৪ জন, ঝিকরগাছা উপজেলার ৬ জন, অভয়নগর উপজেলার ১
জন, কেশবপুর উপজেলার ৯ জন, চৌগাছা উপজেলার ২ জন এবং মনিরামপুর উপজেলার ৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, যশোর শহর ও সদর উপজেলায়
আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন, সেবিকা, ইউপি মেম্বারসহ বিভিন্ন পেষার মানুষ।
আক্রান্তার হলেন, শহরের খালদা রোডের আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩৩), যশোর ২৫০
শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কমীচারী রানা (২৬), আয়া হেলেনা আক্তার (৪৫),
সিনিয়র স্টাফ নাস কল্পনা রানী (৪৭), পুরুষ সেবিকা ইমাদ উদ্দিন (২১) ও
সিনিয়র স্টাফ নাস তাহমিনা পারভীন (৫০), নতুন উপশহর বি ব্লক ৮৭ নং বাড়ির
বাসিন্দা ও ৫নং ইউনিয়ন পরিষদের ২নং ওয়াডের মেম্বার রেজাউল ইসলাম (৫৩),
লাল দিঘীর পাড়ের রাবেয়া বেগম (৬৫), কদমতলার সুচিত্রা সাহা (৫০), ঘোপ
সেন্ট্রাল রোডের ওয়াহিদুর রহমান (৬২), ঘোপের আব্দুল করিম (৩৮), কারবালার
ওয়াহিদা ইয়াসমিন (৫০), কোতয়ালী মডেল থানার পুলিশ সদস্য আবুল হাসান (৩৩),
বারান্দী পাড়ার আফসার আলী (৯২), নওদা গ্রামের রাকিব হোসেন (১৮) ও লাল্টু
বিশ্বাস (৫০), মুজিব সড়কের আশুরা খাতুন (৪০), সোনালী ব্যাংকের মহিদুল
ইসলাম (৫৮), সুজল পুরের আহাদুল (৫০), রূপদিয়ার নজির হোসেন (৫৬), কেন্দ্রী
কারাগারের রিয়াজুল (৩৫), বাহাদুরপুরের আমীর হোসেন (৪০), পুলিশ লাইনের
বুলবুল আহমেদ (৪০), আতিয়ার (৩৩), রাজিব (২৫) ও রাশেদুল কবির (২৭),
চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ডের জোসনা (৪৫), মোমেনা বেগম ও আনোয়ারা (৭০),
নাজির শংকরপুরের মাহফুজুল আলম (৩৫), ইছাপুরের ফারুক (৬০), যাদবপুরের
তরিকুল (৫০), চুড়ামনকাটির বাবুল (৬২), উলশির মোশাররফ (২৬), কায়েম কোলার
নমিতা কুন্ডু(৬০), ঘোল পাড়ার মেহেদী হাসান (২৯), কাজীপাড়ার জিয়াউল হক
(৪০), শেখহাটির আলমগীর (৫৫), চাঁচড়ার ওমর আলী (৭০) এবং বিদ্যুৎ ভবনের আবু
হাসান (৫৬)।
এছাড়া অন্যান্য উপজেলার বাসিন্দা কিন্তু সদরে নমুনা দেওয়া ব্যক্তিরা
হলেন, বালিয়াডাঙ্গার সোলেমান বিশ্বাস (৬২), কোমরপোলের আলমগীর হোসেন (৩৫),
মজিদপুরের ইসমাইল মোড়ল (৬০), মনিরামপুরের মিঠু (৩২), মির্জাপুরের
কামরুজ্জামান (৩৬), কেশবপুর উপজেলার হযরত আলী (৩৫) ও অনিল কুমার মোদক
(৭৯)।
মনিরামপুর উপজেলায় আছেন, জালালপুরের মুরশিদ আলম (২৯), গলদার আব্দুল ওহাব
(৬২), চালভার রোজিনা খাতুন (৪০), ঝালঝাড়ার গোলাম আযম (৬৫), শিমুলিয়া আফজল (৬০) এবং আলতাপোলের ইভা রানী পাল (৫৫) ও সাধন কুমার পাল (৬৫)।
চৌগাছা উপজেলায় আছেন, উত্তর কয়ারপাড়ার আবুল বিশ্বাস (৬৫) ও আড়কান্দির
গোবিন্দ সরকার (৫৫)।
কেশবপুর উপজেলায় আছেন, উপজেলার আব্দুল গণি (৫৫) ও নারগিস নাহার (৪৮),
সারুইয়ার বিধান দাশ (৩১), সোনালী ব্যাংকের উৎপল কুমার দাশ (৩১) ও সাকিবুর
রহমান (২৮), আলতাপোলের চিত্তরঞ্জন দাশ (৬৭), ত্রিমোহিনির আব্দুর রহিম
(২৭), রূপসা তিলকের  ফজলে রাব্বি (৩৮), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
মদিনা খাতুন (৪৮)। ঝিকরগাছা উপজেলায় আছেন, জাফর নগরের মোমেনা বেগম (৪৮), বাজারের ফেরদাউস জামান (৪৫) ও আল ইমরান সুমন (৩৪), কৃষ্ণনগর থানার লিপি রানী কীর্তনিয়া (৫৪), হরিয়াদীয়াড়ার নুর জাহান বেগম (৪৮) এবং কলেজ পাড়ার এসকে আশরাফুল আলম (৫৬)।
শার্শা উপজেলায় আছেন, সদর বাড়িপোতার ইসমত আরা (২৬) ও আল সাবের (২৭),
উপজেলা পরিষদের ফারহানা আফরোজ (৩৩) এবং গোকারনের আব্দুস সালাম (৫৫)।
অভয়নগর উপজেলায় আছেন, বুইকারার আবুল কালাম আজাদ (২৭)। আক্রান্তদের লিষ্ট
প্রশাসনকে দেওয়া হয়েছে। বাড়ি লকডাউনসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া
হচ্ছে।#