ব্যক্তি উদ্যোগে ব্যারিষ্টার সৈয়দ আলী জিরুর ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়া উপজেলাকে সবুজায়নের কর্মসূচির উদ্যোগে সারা দিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে একঝাঁক শিক্ষিত তরুণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান’ এই শ্লোগাণকে বুকে ধারণ করে ব্যারিষ্টার জিরু গত ২৪ জুন হতে লাগাতার গাছ লাগানোর কাজে ব্যাপৃত রয়েছেন। তরুণ প্রজন্মের নেতা জিরুর সাথে গাছ লাগানোর যুদ্ধে সামিল হয়েছেন, ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়ার পাঁচ শতাধিক তরুণ। এদের কেউ ছাত্র আবার লেখাপড়া শেষ করে চাকুরি প্রত্যাশি। উচ্চ শিক্ষিত বিভিন্ন বিম্ববিদ্যালয় ফেরত প্রকৌশলী, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার এবং কৃষিবিদ রয়েছেন। করোনাকালীন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তরুণ ছাত্ররা এলাকার পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জিরুর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নিরন্তর পরিশ্রম করে গাছ লাগিয়ে চলেছেন। জিরুর এই উদ্যোগকে এলাকার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিসহ সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষ স্বতস্ফূর্তভাবে স্বাগত জানিয়েছেন।
ঈশ্বরদী ও আটঘরিয়ার প্রতিটি স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্তান, শ্মশান, রাস্তার পাশে প্রতিদিনই গাছ লাগানো হচ্ছে। তরুণরা গাছ লাগিয়েই ক্ষ্যান্ত দিচ্ছেন না, গাছের পর্যবেণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও তারা নিয়েছেন। এরই মাঝে প্রায় তিন হাজারের বেশী গাছ লাগানো হয়েছে হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান তুফান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময়ের তুখোর ছাত্রনেতা ও পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ব্যারিস্টার জিরু বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবুজায়নের কাজ শুরু করেছি। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা ও আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব হতে মুক্ত রাখার জন্য আমার এই কাজে এলাকার সচেতন ও শিক্ষিত পাঁচ শতাধিক তরুণ শামিল হয়েছেন। এসব কর্মকান্ডের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণ সমাজ উজ্জিবিত হচ্ছে বলে মনে করি।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক সুব্রত বিশ্বাস বলেন, সবুজ বাংলার স্বপ্ন থেকেই ব্যারিস্টার জিরুর কাজের সাথে নিজেকে যুক্ত করেছি। খেলাঘরের ঈশ্বরদী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক জাকিউল মাওলা সুমন জানান, খেলাঘরের শিশু-কিশোররা ব্যারিষ্টার জিরুর পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার কাজে সহযোগিতা করছে। হাজী দানেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সালেহীন বিশাল বলেন, মাদকমুক্ত সমাজ ও সুন্দর ঈশ্বরদী গড়তে গাছ লাগানোর সাথে সাথে উন্নত দেশ গড়ার স্বপ্ন থেকেই জিরু ভাইয়ের সাথে কাজ করছি । প্রকৌশলী ইফতেখারুল ইমন বলেন, এই কাজে যুক্ত হয়ে আমরা তরুণ সমাজ আজ সুন্দর ঈশ্বরদী ও আটঘোরিয়া গড়তে একতাবদ্ধ।