যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জেনোম সেন্টার বুধবার যশোর জেলার যে ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত করেছে, তাদের মধ্যে যশোর শহরসহ সদর উপজেলার বাসিন্দাই রয়েছেন ৪২ জন।
বাদবাকি তিনজনের মধ্যে শার্শা ও ঝিকরগাছা উপজেলার একজন করে। অন্যজনের ঠিকানা নিশ্চিত হতে পারেনি স্বাস্থ্য বিভাগ।
যশোর শহরসহ সদর উপজেলায় শনাক্ত হওয়াদের মধ্যে আছেন বেজপাড়া মেইন রোডের লিজা (৪০), ২, পিটারসন রোডের তিসান (১২), তানিয়া শারমিন (৩১), খাদিজা বেগম (৭৪) ও চম্পা (৩৮), উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের তারিক হাসান (৫৬) ও সাইফুল ইসলাম (৩৩), পুরাতন কসবা কাজীপাড়ার সিফাত, ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মুরাদ হোসেন শেখ(৪২), তাহমিনা জেসমিন (৫২) ও মুস্তাকুল হক (৩৮), বারান্দিপাড়ার কবির হোসেন (৪৭) ও শাহরিয়ার (৪১), ঘোপের পাপিয়া (৪০), আব্দুর রব (৫০), সাহানা (৪২) ও আবুল কালাম (৭২), উপশহরের জাহিদুল ইসলাম (৩৬), পুরাতন কসবার সমীর সিংহ (৫৫), সাড়াপোলের আবু তালেব (২৯) ও রূপা (২৬), রেলগেটের নুর নাহার (৪৫), পুলিশ লাইনের সোহেল রানা (২৯), জনি (৪৩) ও শহীদ (৩৫), মনোহরপুরের আব্দুল হালিম (৫০), যশোর মেডিকেল কলেজের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারহানা ইয়াসমিন (৩৮), রবীন্দ্রনাথ সড়কের ইসাহার (৭০), লোন অফিসপাড়ার অসিতকুমার (৫৮), মথুরাপুরের রেজাউল (৫২) এবং ঘোপ ডিআইজি রোডের রওশন আলী (৫৬)।
এছাড়া সদরে নমুনা দেওয়া অন্য উপজেলার কয়েকজন আছেন। তারা হলেন, অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জহির হোসেন (৩৫) ও আব্দুল বাসার (৬৩), ঝিকরগাছার ইমরান (৩৩) ও আব্দুল আলী (৩৮), শার্শার আনোয়ার (২৯), বাঘারপাড়ার আব্দুল আল মামুন (৪৬), কেশবপুরের ডা. অনুপ সরকার (৩০), চৌগাছার গৌরিপুরের রাজু (৩২) ও কাশিপুরের মোস্তফা আল-রাজীব (৩৮) এবং চুয়াডাঙ্গা জেলার সায়েম আলী (৪৮)। এরা সবাই যশোর জেনারেল হাসপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন।
শনাক্ত অন্য দুই উপজেলার বাসিন্দা দুইজন হলেন শার্শার আলেকা খাতুন (৪৫) ও ঝিকরগাছা শহরের কৃষ্ণনগরের রোকসানা বেগম (৫০)। করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত হওয়ায় এদের সবার বাড়ি লকডাউন করা হচ্ছে। রোগীদের সবাইকে আপাতত হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে।