“”যৌতুক””


বিপদে পড়েছে আমার বাপ
যেখান থেকেই আসে শাদির পয়গাম
প্রথমেই শুরু হয় শুধু দরদাম
কেউ হাঁকে পাঁচ কেউ হাঁকে সাত লাখ
আমি যেন দুনিয়ার বড় অভিশাপ।
সহায় সম্বল যা কিছু ছিল বাবার
সব কিছু বিক্রি করে, করে সাবাড়
পাঁচ লাখ টাকা করলো জোগাড়
তিন লাখ টাকা যৌতুক দিয়ে
মেয়ের সুখের তরে
বাকী দু লাখে ধুমধামের সাথে
অনুষ্ঠান করে মোরে দিল বিয়ে।
ছ,মাস পর স্বামী ডেকে কয়
এক লাখ এনে দাও চটজলদি আজ
শুধু এনে দাও আরো দাও
তোমার বাবার কিছু থাক বা না থাক ।
স্বামী পক্ষের বাড়ছে শুধু চাপ আর চাপ
কেন জন্মিনূ নারী হয়ে
এটাই কি মোর বড় অপরাধ ?
মূকের মত ছিলাম শুধুই চুপচাপ
বিয়ের নামে চলছে আজ সমাজে
এক ধরনের চাঁদাবাজি
এ যেন এক মহা ধাপ্পাবাজি
নহে কি তারা সমাজে বড় অপরাধী ? ‌
অনলে পুড়ে স্বপ্ন হয়ে গেল ছারখার
শুরু হলো চতুর্দিক থেকে
শশুর শাশুড়ি ননদ দেবরের
স্বামীর নানাবিধ অত্যাচার।
বদণের ওপর কিল-ঘুষীর
শব্দ হচ্ছিল ধুপ ধাপ।
নির্ভয়ে বললাম এবার জবান খুলে
কেমনে বলব , বাবার বড়ই অভাব ।
নাহিতো আজ আর কোন কিছু
শুধুই আছে তার বাড়ির ভিটে।
উহা যদি করে বিক্রি থাকতে হবে বস্তিতে।
সবাই মিলে চুলের ঝুটি ধরল এঁটে
নাই যদি দিবি টাকা বাপের বাড়ি হাঁট।
নানাবিধ অত্যাচারে করছিলাম ছটফট
কখন যে হারিয়েছি জ্ঞান
জানা ছিল না কিছু
পাশের বাড়ির লোকেরা এসে
হাসপাতাল নিয়ে যায় তারা চটপট ।
জ্ঞান ফেরার পর তাকিয়ে দেখি পাশে
বাবা-মা ভাই সবাই তাকিয়ে হতাশে।
কত নারী নারী হচ্ছে যৌতুকের বলি
কলমের তুলিতে কেমনে ধরি মে,লি
শরীয়ত বলে যৌতুক প্রথা
পরিপূর্ণ রূপে হারাম
আল্লাহ তুমি সুমতি তাও মোদের
যৌতুক প্রথা থেকে রক্ষা করো জাতিকে
যেন মেয়ের বাবা-মায়েরা পায় আরাম।
আসুন সবাই মিলে জন সচেতনতা
তুলি গড়ে ,যেন সমাজে পড়ে প্রভাব
ছেলের বাবা-মা যেন ।
করে না এমন মহাপাপ।