পাবনার ভাঙ্গুড়ায় অটোরিকশার ধাক্কায় নানীর কোল থেকে পড়ে গিয়ে ১৮ মাস বয়সী সৌরভ হোসেন নামে এক শিশু মারা গেছে। রবিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের নৌবাড়ীয়া গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের সারুটিয়া মহল্লার সাগর আলীর ছেলে। সাগর আলী পেশায় একজন হোটেল মালিক। শিশুটি তার মায়ের সাথে নানীর বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শিশু সৌরভ হোসেন ঈদের আগের দিন মায়ের সঙ্গে নৌবাড়ীয়া গ্রামে নানা রাশেদুল ইসলামের বাড়িতে বেড়াতে আসে। রাশেদুল ইসলামের বাড়ি ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ সড়কের পাশে নৌবাড়ীয়া গ্রামে। একপর্যায়ে রোববার রাতে প্রচন্ড গরমে নানী বার্লি খাতুন নাতিকে কোলে নিয়ে হাঁটাহাঁটি করার সময় সড়ক পার হচ্ছিল। এমন সময় শরৎনগর বাজার থেকে নৌবাড়ীয়া গামী একটি দ্রুতগতির অটোরিকশা তাদেরকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এতে নানীর কোল থেকে শিশু সৌরভ সড়কের উপর ছিটকে পড়ে এবং নানী বার্লি খাতুনের হাত ভেঙে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদেরকে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু সেখানে পৌছানোর পরে চিকিৎসকরা শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানী বার্লি খাতুনের হাত প্লাস্টার করে বাড়িতে নিয়ে যায় স্বজনরা। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছে, পালিয়ে যাওয়া অটো রিক্সার ড্রাইভারের নাম বরাত আলী। সে নৌবাড়ীয়া উত্তর পাড়ার জাহের আলীর ছেলে। তবে এই ঘটনায় শিশু সৌরভের পরিবার থানায় অভিযোগ দেয়নি। এখন বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নৌবাড়ীয়া গ্রামের ইউপি সদস্য জেসমিন আক্তার বলেন, শিশুটি নিহত হওয়ার ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তাই স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। মীমাংসা না হলে থানা প্রশাসনের সহযোগিতা নেওয়া হবে। তবে এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়ে কেউ থানায় কোনো কিছু জানায়নি। তবে বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে দেখা হবে।