ষ্টাফ রিপোর্টার ঃ লালমনিরহাট সদর উপজেলার বানভাসা এলাকায় সাংবাদিক বদিয়ার রহমান ও ভাই সাইফুল ইসলাম পরিবারের উপর অর্তকিত ভাবে হামলা চালিয়েছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ ও আরিফ বাহিনীর দল। এঘটনায় সাংবাদিক বদিয়ার রহমান তার স্ত্রী ছেলে , তার ভাই সাইফুল ইসলামসহ ৫ জন গুরতর আহত হয়েছে। আহতদের লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে তার মধ্যে গুরুতর অবস্থায় সাংবাদিক বদিয়ার রহমান কে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। অপর আহতদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম এর মাথায় ৯টি শেলাই পড়েছে। আহত স্ত্রীকে মাথা,বুকসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি,লোহার রড দিয়ে সজোরে মারপিঠ করে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় মোঃ সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে বানভাসার নুরুজ্জ্মানেÍ ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী সোহাগ (৩৮) ও আরিফুল ইসলাম আরিফ (৩৬)সহ ১০ জনের নাম ও অজ্ঞাত আরো ৫/৭ উল্লেখ করে লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে যার মামলা নম্বর ৮৮ তারিখ ৩১ জুলাই ২০২০ইং। অপর আসামীরা হচ্ছে, মকবুল হোসেনের ছেলে সবুজ, মোসলেম উদ্দ্নি ,তোফা , বাবলু সকলের পিতা শওকত আলী, সহিদার রহমান পিতা মৃত রহমত উল্যাহ, নুর নবী পিতা তমিজ উদ্দিন, আল আমিন পিতা মোসলেম উদ্দিন। মামলার এজাহারে জানাগেছে, গত ২৯ জুলাই আমদানী ও রপ্তানী কারক মেসার্স বিসমিল্লাহ ট্রেডিং এর মালিক ও লালমানরহাট গোশালা বাজারের পিয়াজের আড়ৎদার সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছোটভাই মোঃ সাইফুল ইসলাম সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার সময় পিয়াজের আড়ৎ বন্ধ করে কালেকশনের ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ক্যাশ নিয়ে বাড়ীতে ফেরার পথে পথিমধ্যে বাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর আসামীগন সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের ছেলে ও সাইফুল ইসলামের ভাতিজা সোহানুর রহমান শিশিরকে এলোপাতারি ভাবে মাইর ডাং দেখিয়ে আসামীগনের হাত থেকে রক্ষার চেষ্টা করলে এমন সময় ২নং আসামী সোহাগ অপর আসামীদেরকে হুকুম দিয়ে বলে ব্যাটাকে চিরতরে শেষ করিয়া দাও। তার হুকুম পাওয়া মাত্র অপর আসামীগন লাঠি সোটা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মাইর ডাং করতে থাকে । এমন সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুল ইসলামের মাথায় হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে কোপাতে থাকে। সে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ২ নং আসামী সোহাগ ১ নং আসামি আরিফুল ইসলাম আরিফ ও ৩ নং আসামী নুর ইসলামের সহযোগিতায় পায়জামার পকেটে থাকা ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় সোহাগ। খবর পেয়ে সাংবাদিক বদিয়ার রহমান রক্ষার চেষ্টা করলে তাকে লাঠি সোটা দিয়ে অপর আসামীরা এলোপাথারী ভাবে মারডাং করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পরে। এমন সময় সাংবাদিক বদিয়ার রহমানের স্ত্রী রক্ষার জন্য এগিয়ে গেলে তাকেও লাঠিসোটা দিয়ে এলোপাতারী ভাবে মাইর ডাং করতে থাকে। এমন সময় স্থানীয়রা তাদের দুইজনকে বাড়ীর ভিতরে নিয়ে গেলে টিনসেট বাড়ীর বেড়া ভাংচুর করে পুনরায় এলোপতারী ভাবে মাইর ডাং করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করালে সাংবাদিক বদিয়ার রহমান গুরুতর আহত হওয়ায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। এব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোঃ আসাদ মিয়া জানান, ঘটনাস্থল তদন্ত করা হয়েছে। স্থানীয়দের জবানবন্দি নেয়ামতে ঘটনার বিবরণ এর সত্যতা প্রাথমিক ভাবে পাওয়া গেছে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে। সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, তদন্তকারী কর্মকর্তার তদন্তে আসামীদেরে গ্রেফতারের অভিয়ান অব্যহত রয়েছে। এদিকে ঘটনার ৪ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ এখনো কোন আসামীকে গ্রেফতার করতে না পাড়ায় স্থানীয় ও সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এব্যাপারে সাংবাদিক বদিয়ার রহমান জানান ঈদের পর প্রথম পর্যায় জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে মানববন্ধনসহ বৃহত্তর কর্মসুচীর ঘোষনা দেয়া হবে। এতেও পুলিশ আসামী গ্রেফতারে ব্যার্থতার পরিচয় দিলে প্রয়োজনে সারাদেশের সাংবাদিকদের নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে। এদিকে মামলার আসামীরা বাদী ও সাংবাদিক পরিবারকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিয়ে জানিয়েছে মামলা তুলে না নিলে স্বাক্ষীসহ সাংবাদিক পরিবারকে জানে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করে আসছে জানান বাদী সাইফুল ইসলাম এবং সাংবাদিক বদিয়ার রহমানসহ তার পরিবারগন। সাংবাদিক পরিবারের সন্তানদের ও তুলে নিয়ে গুম করার হুমকিও দিয়েছে মামলার আসামীরা।