ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
ঈশ্বরদীতে চামড়ার বাজারে ধ্বস নেমেছে। ক্রেতা নেই। একটি চামড়া বিক্রি করে ১ কেজি কাঁচা মরিচের দামও হচ্ছে না। আবার ছাগলের চামড়া বিক্রি করে কম দামের এক প্যাকেট সিগারেটে/ বিড়ির দামও উঠছে না। আড়তদারের কোন লোকজনকে রেলগেট এলাকায় দেখা যায়নি। শনিবার বিকেলে রেলগেটের বাস টার্মিনালে অস্থায়ী চামড়ার হাট ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
দুপুর ১২টার পর হতেই মৌসুমি চামড়ার ফড়িয়ারা শহর-গ্রাম-গঞ্জের বাড়ি বাড়ি ঘুরে চামড়া ক্রয় করে। বিকেল তিনটার পর হতেই ফড়িয়াদের নিয়ে আসা চামড়া পাইকারী ব্যবসায়ীরা কিনতে শুরু করেন। গরুর চামড়া ১৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ১০-১২ মন ওজনের ৬টি চামড়া সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা দামে বিক্রি হয়েছে। আর ছাগলের চামড়া ১৫ টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। ছাগলের চামড়ার নির্ধারিত দাম দিতে চাচ্ছেন না পাইকাররা।
শহরের নূর মহল্লার গোলাম মোস্তফা খোকন জানান, তার কোরবানির গরুর ৬ মণ ১১ কেজি মাংস হয়েছে। এই গরুর চামড়া বিক্রি করে ৩০০ টাকা পেয়েছি। অথচ শুক্রবার রাতে ঈশ্বরদীতে ১ কেজি কাঁচামরিচ ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। বড়ো আকৃতির গরুর চামড়া বিক্রি করে ১ কেজি কাঁচা মরিচের দামও উঠছে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
কালিকাপুরের ফড়িয়া শামসুল জানান, ছাগলের চাড়া বিক্রি করে এক প্যাকেট কমদামী সিগারেট বা বিড়ির দামও পাওয়া যাচ্ছে না। বাড়ি বাড়ি ঘরে ২০ থেকে ৪০ টাকা দামে ছাগলের চামড়া কিনলেও গত বছরের মতো এবারেও লোকসান হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ী শহরের বাবু বলেন, আমরা ১৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৪০০ টাকা দরে গরুর চামড়া কিনছি। এর চেয়ে বেশি দামে কেনা সম্ভব না।