নির্মলেন্দু সরকার বাবুল,দুর্গাপুর, নেত্রকোনা
জেলার দুর্গাপুরে আসন্ন কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে শেষ মুর্হুতেও কর্মবিমুখ হয়ে রয়েছেন কামার শিল্পীরা। মুসলমান সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে তারা এখন কর্মহীন ভাবে সময় পার করছেন। দিনরাত নিরলস পরিশ্রম করে মাংস কাটার যন্ত্রপাতি তৈরী করলেও করোনার কারনে তেমন বেচা-কেনা নাই বল্লেই চলে।
এ নিয়ে বৃহস্পতিবার(৩০জুলাই) বিকেলে সরে জমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার আত্রাখালি, প্রেসকাব মোড়, দেশওয়ালীপাড়া, ধানমহাল, উৎরাইল বাজারসহ বিভিন্ন কামার দোকান গুলোতে কুরবানীর ঈদকে সামনে রেখে দা, বঁটি, চাকু, হাসুয়া, কুড়াল, চাপাতিসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাদি তৈরী ও মেরামতের কাজ করছেন কামার শিল্পীরা। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে লোহা এনে সেগুলোকে আগুনে পুড়িয়ে তৈরী করছেন কোরবানীর নিত্য প্রয়োজনীয় উপকরণাদি। সামনে কুরবানীর পশু জবাই ও কাটাকুটির জন্য ঐসব জিনিসপত্র চাহিদা অনুযায়ী নিচ্ছেন না ক্রেতারা।
দীর্ঘ দিন মহামারিতে তাদের কাজ বন্ধ এবং আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ যন্ত্রাংশের ছোয়ায় তাদের মাঝে দুর্দিন দেখা দিয়েছে বলে এমন ভিন্ন রকম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। সারা বছর কাজ না থাকায় পেশা বদল করে অন্য পেশায় যেতে পারছেন না তারা। কুরবানীর ঈদের ইনকাম দিয়ে দু-এক মাস খেয়ে না খেয়ে চলতে পারে তারা। ঈদকে সামনে রেখে কয়েক সপ্তাহ ধরে কাজে ব্যস্ত থেকে লোহার দ্রব্যাদি তৈরী করেও বিপাকে পড়তে হলো তাদের। বিক্রি নিয়ে দেশওয়ালী পাড়া এলাকার কামার শিল্পী পরিতুষ কর্মকার জানান, গত কুরবানীর ঈদে লোহার তৈরী দা, বঁটি, কুড়াল সহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেভাবে বিক্রি করেছি এবার তার তিন ভাগের এক ভাগও বিক্রি নেই বললেই চলে।
মেশিনের সাহায্যে এখন এ সকল পণ্য তৈরীর কারণে আমাদের কদর প্রায়ই কমে গেছে। হয়তো এক সময় কাজের অভাবে আমাকেও পেশা পরিবর্তন করতে হবে। তবে কুরবানীর ঈদের অপেক্ষা করে অনেক দ্রব্যাদি তৈরী করেছিলাম। কিন্ত বিক্রি করতে না পাড়ায় পুজি সংকটে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে আমাদের।