রাজনগরে তারাপাশা নিউজ২৪ এর নির্বাহী সম্পাদক মঈনুদ্দিন সিদ্দিক সন্ত্রাসী হামলায় আহত হয়েছেন। এ ঘঠনায় রাজনগর থানায় জিডি করা হয়েছে। আহত সাংবাদিক মঈনুদ্দিন সিদ্দিক জানান-গত ২২শে জুলাই বুধবার রাত ৮ ঘটিকার সময় (০১৩০২-৬৩৯৭৬২) এই ফোন নাম্বার দিয়ে তার ব্যক্তিগত নাম্বারে (০১৭৭৫-৯৩৭৭৫০) মোহাম্মদ কালাম পরিচয় দিয়ে বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে জিজ্ঞেস করে তিনি বর্তমানে কোথায় আছেন। এবং কবে বাড়িতে আসবেন ।
তিনি উত্তরে বলেন আমি তারাপাশা বাজারে রয়েছি। ঘন্টার ভিতরে বাড়িতে আসছি। আপনার বিশেষ প্রয়োজন হলে ফোনে কথা বলুন। ফোনের ১ ঘন্টা পরেই অনুমান ৯:১৫ মিনিটে তিনি সিএনজি যোগে তারাপাশা বাজার থেকে শমসেরনগর রোডের মিলের বাজার নামক স্থানে পৌঁছিলে ৫-৬ জন সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে উৎ পেতে থাকা একদল মুখোশধারীরা পিছন থেকে এসে এলোপাতাড়ি হামলা চালায়। এ সময় তাদের হামলায় মঈনুদ্দিন সিদ্দিক রাস্তার পাশে পানির খাদে পরে যান এবং চিৎকার করতে থাকেন, তার চিৎকার শুনে পার্শবর্তী বাড়ির লোকজন বাহির হতে চলে আসতে দেখে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এসময় পার্শ্ববর্তী বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে রাজনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করেন।
এদিকে একজন সৎ ও সাহসী সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনায় উপজেলার সাংবাদিকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় বিরাজ করছে। হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানানো হয়। এ ঘঠনায় মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মশাহিদ আহমদ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং হামলার পরিকল্পনাকারীসহ জড়িত সকলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দাবী জানান। স্থানীয় সাপ্তাহিক রাজনগর বার্তার সম্পাদক আক্তার হোসেন সাগর বলেন- মঈনুদ্দিন সিদ্দিক এর উপর যারা হামলা করেছে তাদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তা নাহলে এভাবে সাংবাদিকরা বার বার হামলার স্বীকার হবেন। সাংবাদিক আহমদউর রহমান ইমরান বলেন- সঠিক আসামী তদন্তের মাধ্যমে দ্রুত বিচারের আওতাভুক্ত করা জরুরি।
সাংবাদিক চিনু রঞ্জন দাশ তালুকদার সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানান। সাংবাদিক শেখ নজরুল ইসলাম এবং সাংবাদিক ফরহাদ হোসেন বলেন- আমরা উপজেলা সকল সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ না করলে এরকম হামলার পুনরাবৃত্তি ঘটতে পারে। তাই অনতিবিলম্বে সকল হামলাকারিদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য পুলিশ প্রসাশনের কাছে দাবি জানান রাজনগর উপজেলার গণমাধ্যম কর্মীরা। সাংবাদিক তরফদার মামুন, হেলাল আহমদ, আব্দুল বাছিদ, আশরাফুল ইসলাম, জাকির আহমদসহ স্থানীয় এলাকাবাসী এবং জনপ্রতিনিধিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে ঘঠনাটির তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় নিয়ে আশার জন্য অনুরোধ করেন।
চেয়ারম্যান নজমুল হক সেলিম বলেন- আমি এ ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবো। সামাজিকভাবে এটা আলোচনা করার চিন্তা করতেছি। সাক্ষী প্রমানদ্বারা যাদেরকে চিন্তিত করা হবে তাদেরকে আইনের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করার চেষ্টা করবো। রাজনগর থানার ওসি আব্দুল হাসিম জানান, মঈনুদ্দিন সিদ্দিককে যারা সন্ত্রাসী হামলা করেছে তাদেরকে তদন্তের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। তিনি জিডি করেছেন আমরা এটা গুরুত্বপূর্ণভাবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।