স্টাফ রিপোর্টারঃ নিম্নমানের খাবার, পিপি, হ্যান্ড গ্লোবস এবং বিরুপ পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন পাবনা জেনারেল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকগণ। সুত্র জানায় সম্প্রতি পাবনায় ১৩ জন নতুন চিকিৎসক যোগদান করেন। এদের মধ্যে ১ জন ঢাকায় পোস্টিং নেন। বাকী ১২ জনকে ৪ টি গ্র“পে ৩ জন করে ভাগ করে করোনা রোগীদের সেবা দেওয়ার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদের প্রত্যেক গ্র“প হাসপাতালে ৭ দিন করে ডিউটি করার পর ব্র্যাকে গিয়ে ১৪ দিন থাকার পর নিজ নিজ বাসায় ৬ দিন অবস্থান করার পর পুনরায় ৭ দিনের ডিউটি করবেন। প্রত্যেক গ্র“পে বাহির থেকে ১ জন করে চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও বাহিরের চিকিৎসকরা তাদের ডিউটি করছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। হাসপতালে ৭ দিন একটানা থাকতে গিয়ে বিরুপ পরিবেশের সম্মুখিন হচ্ছেন কর্মরত চিকিৎসকগণ। কয়েকজন চিকিৎসক জানান, পিপি ব্যবহারের আগে ও পরে শরীর থেকে খোলার জন্য আলাদা কোন রুম নাই। বাধ্য হয়ে হাসপতালের করিডোরেই পিপি খোলার কাজ সারতে হচ্ছে। পুরুষ চিকিৎসকের যেমন তেমন মেয়েদের জন্য করিডোরের মধ্যে পিপি পড়া বা খোলা বিব্রত কর অবস্থা দাড়িয়েছে। ৭ দিন থাকার রুমে সঠিক ভাবে জীবানুনাশক ঔষধ ছিটানো হচ্ছে না। ক্লিনার মাঝে মধ্যে ব্লিচিং পাউটার ছিটায়ে দিলেও মেঝে ভালভাবে পরিস্কার করে দিচ্ছে না। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্র“পের মধ্যে ৫ জন চিকিৎসক করোনা পজিটিভ দেখা দিলেও গ্র“পের বাকী চিকিৎককে দিয়েই দায়িত্ব পালন করানো হচ্ছে।
করোনা শুরু থেকেই উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকদেরকে রিজার্ভ রাখা হয়েছে। সেখানে করোনা রোগিদের চিকিৎসা সেবা বা করোনা রোগিদের রাখা হচ্ছে না। শুধু পাবনা জেনারেল হাসপাতালে করোনা রোগিদের রাখা হচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কিছু চিকিৎসকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো যেতে পারে বলে কর্মরত চিকিৎসক গন মনে করেন। তারা আরও জানান, হাসপাতালে শ্বাস কষ্ট নিয়ে হৃদ রোগে বা অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকেও তাদের কাছে পাঠানো হয়। এতে করোনা বিস্তারের ঝুকি থাকছে। করোনায় আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়া রোগী ছাড়া অন্য রোগী তাদের কাছে পাঠানো সমুচিন নহে।
এ ব্যাপারে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ মোঃ আবুল হোসেন জানান, চিকিৎসক কম থাকায় কাউকে ডিউটি থেকে বাহিরে রাখা যাচ্ছে না। তিনি আরও জানান পাবনা সিভিল সার্জন এর কাছে কয়েকজন চিকিৎসক চাওয়া হয়েছিল । সেখান থেকে কোন চিকিৎসক দেওয়া হয়নি। চিকিৎসকদের পিপি খোলার জন্য আলাদা রুমের জন্য গণপূর্ত বিভাগকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। শিঘ্রই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ঈাবনা সিভিল সার্জন ডাঃ মেহেদী ইকবাল জানান, বিষয়টি হাসপাতালের সহকারী পরিচালক দেখেন। এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাচ্ছেন না।
ব্র্যাক অফিসে ৪ জনের স্থলে ৩ জন বা ২ জন অবস্থান করায় প্রত্যেক জনের বিপরিতে প্রতিদিন ১৩/১৪ শত টাকা খরচ কম হওয়ার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না। সরকারি টাকা কোথা যাচ্ছে তা কেউ জানেনা। নিম্নমানের পিপি পাওয়ায় কর্মরত চিকিৎসকগণ নিজ নিজ উদ্যোগে পিপি এবং হ্যান্ড গ্লোবস ক্রয় করে ব্যবহার করছেন। সচেতন মহল মনে করেন, যাদেও কাছ থেকে আমরা সেবা নেব বা নিচ্ছি আগে তাদেরকে সুরক্ষা দিতে হবে। তাদের সুযোগ সুবিধা দেখতে হবে। তা হলে আমরাও ভাল সেবা পাব।