নাজিম হাসান,রাজশাহী প্রতিনিধি:
সরকারের করোনকালীন নন-এমপিও শিক্ষকদের সরকারি প্রনোদনা থেকে বাদ পড়েছেন রাজশাহীর বাগমারার শতাধিক শিক্ষক কর্মচারী। বাদপড়া এসব শিক্ষকরা পুনরায় তাদের নাম তালিকায় অর্ন্তভুক্ত করে কারোনাকালীন সরকারি প্রনোদনার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন। বাদ পড়া এসব শিক্ষক কর্মচারীর পক্ষে বৃহস্পতিবার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্য়ালয়ে আবেদন করেছেন তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পর্যায়ের নন- এমপিও শিক্ষক কায়েদ-ই- আযম, শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক আব্দুল হান্নান, মোহনগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক সাহেদুর রহমান ও পানিয়া নরদাশ ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক জবান আলী সহ ২০/২৫ জন শিক্ষক। আবেদন পত্রে তারা দাবী করে বলেন, রাজশাহী জেলার বেশ কিছু উপজেলার এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও শিক্ষকরা প্রনোদনার অর্থ পেয়ে থাকলেও শুধু মাত্র বাগমারা উপজেলায় এমপিও ভুক্ত প্রতিষ্ঠানে নন-এমপিও এবং তৃতীয় শিক্ষকরা বঞ্চিত হয়েছে। ওই আবেদনে তারা আরো দাবী করে বলেন, রাজশাহীর পাশের জেলা নাটোর, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন ডিগ্রি কলেজের তৃতীয় শিক্ষকসহ অনার্সের শিক্ষকরাও এই প্রনোদনার অর্থ পেয়েছেন। তাই সরকারের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমরা এই করোনকালীন সময়ে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম সংকটের মধ্যে রয়েছি। এছাড়া সামনে কোরবানীর ঈদ আসায় আমরা আরো বেকায়দায় পড়েছি। আমরা না পারছি কোন কোরবানী দিতে না পারছি পরিবারের সদস্যদের মুখে ভাল খাবার তুলে দিতে । এই অবস্থায় আমরা বাগমারার বঞ্চিত শিক্ষকরা জাতীর জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলার মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম মাহমুদুল হাসান আবেদন পাওয়ায় বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরা উপজেলার সকল নন-এমপিও শিক্ষকদের তালিকা পাঠিয়েছিলাম। পরবর্তীতে ডিজি থেকে যেভাবে নির্দেশনা এসেছে আমরা সেই মোতাবেক প্রনোদনার চেক শিক্ষকদের মাঝে বিতরন করেছি। তারপরও এখানে কিছু শিক্ষক বঞ্চিত হয়েছে। আমরা তাদের আবেদনের বিষয়টি উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।