দু’দফা বন্যার রেশ কেটে উঠার আগেই ফের বন্যার মুখে পড়েছে সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা। পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণে তৃতীয় দফায় প্লাবিত হয়েছে উপজেলার নিম্নঞ্চল। ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেকের কাঁচাঘর, রাস্তা-ঘাট, বীজতলা, ফসলি জমি, সবজি ক্ষেত, ভেসে গেছে মৎস্য খামার ও পুকুরের মাছ। এর মধ্যে ফের পানি বৃদ্ধি ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে জনমনে। গবাদিপশু নিয়েও বেকায় রয়েছেন কৃষকরা। চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পানিবন্ধি প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বন্যায় সব’চে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের বাসিন্দারা। সুরমা নদীর পার্শ্ববর্তী হওয়ায় বার বার ব্যনার পানি সহজেই প্রবেশ করে ওই ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে। সম্প্রতি পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নিরাপদ আশ্রয়ে ঘর ছেড়েছেন অনেকেই। প্লাবিত হয়েছে রাস্তা-ঘাট ও দোকানপাট। ভেসে গেছে মাছের ঘের, বীজতলা ও সবজি ক্ষেত। নতুন করে পানিবন্ধি হয়েছেন এ ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজারের অধিক মানুষ। একই অবস্থা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন খাজাঞ্চীতেও। এ ইউনিয়নে পানিবন্ধি রয়েছেন প্রায় ৫ হাজারের অধিক মানুষ। ঝুঁকির মুখে পড়েছে ইউনিয়ন দিয়ে যাওয়া রেললাইন ‘ছাতক-সিলেট’ রেলপথ। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সরকারি-বেসরকারি রাস্তা-ঘাট ও ব্রীজ-কালর্ভাট। এছাড়াও উপজেলার অলংকারি ও দশঘর ইউনিয়নেও নতুন করে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। এতে পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন অলংকারীর দেড় শতাধিক পরিবার ও দশঘর ইউনিয়নের প্রায় ২০টি পরিবার।খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তালুকদার মো. গিয়াস উদ্দিন বলেন, তৃতীয় দফা বন্যায় নতুন করে আমার ইউনিয়নে আরও অনেক পরিবার পানিবন্ধি হয়ে পড়েছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে অবস্থার আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান বলেন, সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি মনিটরিং করা হচ্ছে। পানিবন্ধিদের মধ্যে শুকনো খাবারসহ বিভিন্ন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।