আতাইকুলায় স্বামীর হাতে স্ত্রী খুন, স্বামী আটক।

সাঁথিয়া প্রতিনিধি:
নিলুফা খাতুন(৪০) নামে ৪ সন্তানের জননী তার স্বামীর হাতে খুন হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে
সাঁথিয়া উপজেলাধীন আতাইকুলা থানার আতাইকুলা দিঘুলিয়া পাড়া গ্রামে গত বুধবার
রাতে।
থানা ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ২৫ বছর আগে সাঁথিয়া উপজেলা নাগডেমড়া
ইউনিয়নের সেলুন্দা গ্রামের মৃত মোক্তার সরদারের কন্যা নিলুফার সাথে পারিবারিক ভাবে শাহাদতের সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসারে ৪টি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। টানা পোড়ন সংসারে ৩টি কন্যার বিয়ে দেন। নিহত নিলুফার ছোট ভাই শাকিল জানান, শাহাদত আমার ফুফাতো ভাই।
বিয়ের পর থেকেই ঠুনকো অভিযোগে মারপিট করতো। মেয়েদের মুখের দিকে তাকিয়ে সকল
নির্যাতন মুখ বুজে সহ্য করে আসছিল। নির্যাতনের মাত্রা অতিরিক্ত হলে আমার বোন নিলুফা তার স্বামী শাহাদতকে ডিভোর্স দেন। চলতি মাসের ১৭ জুলাই আতাইকুলা দিঘুলিয়া পাড়ার ইউপি সদস্য মোঃ জালাল উদ্দিনসহ কয়েকজন গ্রাম্য প্রধান তাদের সংসার টিকানোর জন্য তাদের মিল করে দেন। ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন বলেন নিহত নিলুফার উপর আর কোন নির্যাতন হবে না
বলে তার স্বামী শাহাদত ও প্রধানবর্গ লিখিত দিয়ে নিয়ে আসেন। ৫ দিনের মাথায় শাহাদত
বুধবার রাতে তার স্ত্রীকে শ^াসরোধ করে ও শারীরিক নির্যাতন করে হত্যা করে। ভোরে ঘরের দরজা বাহির থেকে আটকিয়ে সে পালানোর চেষ্টা করে। এলাকাবাসী তাকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। শাহাদত হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে পুলিশ হেফাজতে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাবনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) ইবনে মিজান ও
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরুল আলম ঘটনার স্থল পরিদর্শন করেছেন। লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহত নিলুফার ছোট ভাই শাকিল বাদী হয়ে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করেছে। আতাইকুলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিরুল আলম বলেন মামলা হয়েছে।
স্বামী শাহাদতকে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সুস্থ্য হলে জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে। এর সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হবে।