বাগমারায় ব্রীজ ও কালভেটের মুখ বন্ধ করে মাছ চাষে নামতে পারছেনা বন্যার পানি

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় নির্মিত অধিকাংশ ব্রিজ ও কালভেটের মুখ বন্ধ করে দিয়ে প্রভাবশালীরা মাছচাষ করায় বন্যার পানি ঠিকমত নামতে পারছেনা। এ কারণে বন্যা কবলিত এলাকা এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে। যিার কারনে দীর্ঘায়িত হচ্ছে এ উপজেলার বন্যা পরিস্থিতি। ফলে বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর, আমাশা ও ডাইরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যধি হলেও ঔষুধ ও খাবার স্যালাইন সংকটও প্রকট আকারে দেখা দিয়েছে। এছাড়া চিকিৎসার অভাবে পানিবাহিত রোগ-ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তায় নির্মিত ব্রিজ ও কালভেটগুলোর মুখে মাটি ফেলে বন্ধ করে দিয়ে এলাকার প্রভাবশালীরা মাছ চাষ করায় বন্যার পানি নামতে বাঁধা পাচ্ছে। এলাকার পানি নামার মাধ্যম ব্রিজ ও কালভেটগুলোর মুখ বন্ধ থাকায় ঠিকমত বন্যার পানি নামতে না পারায় সোনাডাঙ্গা, দ্বীপপুর, বাসুপাড়া, বড় বিহানালী ও ঝিকরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা এখনো বন্যা কবলিত রয়েছে। এখনো পানির নিচে ডুবে রয়েছে এ পাঁচটি ইউনিয়নের শত শত একর জমির পানবরজসহ ক্ষেতের বিভিন্ন ফসল। হাজার হাজার মানুষ রয়েছেন পানিবন্দি। পানির প্রবল চাপে বাঁধ ও বিভিন্ন সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় ওইসব ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা ও জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। কাঁচা বাড়িঘর পড়ে যাওয়ায় আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন শত শত পরিবার। এ অবস্থায় অনেক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়ে বসবাস করছেন। বিরাজ করছে খাদ্য সংকট ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের তীব্র সংকট। ঝিকরা ইউনিয়নের বাসিন্দা এ্যাডভোকেট আফতাব উদ্দিন আবুল অভিযোগ করে বলেন, এলাকার প্রভাবশালীরা বিভিন্ন রাস্তার ব্রিজ ও কালভেটগুলোর মুখে বন্ধ করে দিয়ে মাছ চাষ করায় বন্যার পানি স্বাভাবিকভাবে নামতে না পারায় পানির প্রবল চাপে শনিবার ভোরে বিলসুতি বিলের বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ ভেঙ্গে কয়েকটি গ্রাম নতুনভাবে বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে ধান, পানবরজ ও সবজি ক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে গেছে। এদিকে সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ আজাহারুল হক ও দ্বীপপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান দুলাল বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় দেখা দিয়েছে সর্দি জ্বর, আমাশা ও ডাইরিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ-ব্যধি। চিকিৎসার অভাবে পানিবাহিত রোগ-ব্যধি মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিলেও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্য কর্মীদের দেখা মিলেনি। বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার গোলাম রাব্বানী বলেন, বন্যা কবলিত এলাকায় যে পরিমান রোগী আক্রান্ত হচ্ছে সেই চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ ও স্যালাইন আমাদের কাছে নেই। চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ওষুধ ও স্যালাইন চেয়ে সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পৌঁছেনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফ আহম্মেদ জানান,কোথাও ব্রীজ কালভাটের মুখ অবৈধ ভাবে বন্ধ করা হলে তা দ্রæত অপসারণের ব্যবস্থা করা গ্রহন করা হবে।